মহাশূণ্যে ইরানের একটি বানর প্রেরণ এবং অন্যটির পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন

Aftab the monkey before launch into space

মহাশূন্যে যাত্রা শুরু করার পূর্বে আফতাব নামের বানরটি। ছবিঃ ইরনা

ইরানের সরকার একটি বানরকে মহাশূন্যে সফলভাবে প্রেরণ এবং ২৮ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে পশুটিকে পুনরায় জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার যে দাবি করেছে তা ব্লগাররা ও সংবাদ মাধ্যমগুলো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। অফিসিয়াল ছবি – যেগুলোতে অনুমিতভাবে বানরটিকে মহাশূন্য যাত্রার আগে ও পরে চিত্রিত করা হয়েছে – সেখানে কোন মিল পাওয়া যায়নি। এতে করে মহাশূন্য যাত্রাটি যে বানোয়াট হতে পারে, সে ব্যাপারে সংশয় ও সন্দেহ আরও বাড়ছে।

জাতীয় আইআরআইবি চ্যানেল ওয়ানের সম্প্রচার থেকে রেকর্ড করা অফিসিয়াল ফুটেজগুলো এখানে রয়েছেঃ

জনপ্রিয় ইরানি লিঙ্ক-শেয়ার করা সাইট বালাতারিনে অনেকেই বলেছেন, শাসকগোষ্ঠী মিথ্যা বলছে। তাঁরা যাত্রার পূর্বে বানরটির ছবির সাথে ফিরে আসা ক্যাপসুলের ভিতর থেকে উদ্ধারকৃত বানরের ছবির তুলনা করেছেন। দু’টি ছবির বানরের মধ্যে শারীরিক অমিলগুলো স্পষ্ট।

এখানে সেগুলো রয়েছেঃ

0,,16563829_303,00

এই পোস্টটির প্রধান ছবিটির উপরের (ডানে) ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম বানরটির ডান দিকের ভ্রুর উপর একটি আঁচিল আছে। মুখের চারপাশে ধুসর ও খর্বাকৃতির লোম আছে। যেখানে দ্বিতীয় বানরটির মুখে কোন আঁচিল নেই এবং মুখের চারপাশে গাঢ় তামাটে বর্ণের লোম আছে।

এই রিপোর্টে নেট নাগরিকদের প্রতিক্রিয়ার পরিসর পরিপূর্ণ সন্দেহ প্রবণতা থেকে শুরু করে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পর্যন্তঃ

ইরানি ব্লগার ‘হাঘ মোসালাম মা’ (‘আমাদের যথার্থ অধিকার’) একটি বিদ্রুপাত্মক কৌশল বেছে নিয়েছেন। তিনি কথিত মহাশূন্য মিশনের সাথে ২০০৯ সালে ইরানের তামশাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঝে সমান্তরাল রেখা এঁকেছেন যেটি অনেকেই অদ্ভুত কৌতুক মনে করছেন। তিনি কৌতুক করে আরো বলেছেনঃ

যে বানরটিকে মহাশূন্যে পাঠানো হয়েছে সেটি হলো [ সর্বোচ্চ নেতার ] বন্ধু। যেটি ফিরে এসেছে সেটি অদ্ভূত আচরণ করছে। […] ফটোশপ ব্যবহার করে আপনি মঙ্গল গ্রহেও বানর পাঠাতে পারেন।

আমির ফারশাদ তাঁর ‘হট চকোলেট’ ব্লগে লিখেছেনঃ

[প্রেসিডেন্ট] মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এই সপ্তাহে ফাযর উৎসবের [ইসলামিক বিপ্লবের জয় চিহ্নিত করে বর্ষপূর্তি উদযাপন ] পূর্বে জাতিকে অনেক সুখবর দিয়েছেনঃ “আমরা একটি বানরকে মহাশূন্য যাত্রায় পাঠিয়েছি এবং সেখানে সেটির আঁচিল মুছে ফেলার জন্য একটি সৌন্দর্য্য বর্ধক অস্ত্রোপচার করতে সমর্থ হয়েছি। এরপর এটিকে সুস্থ অবস্থায় সর্বোচ্চ নেতার বাহুতে করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি।”

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .