মর্যাদার কণ্ঠ – কলম্বিয়ার সশস্ত্র সংঘাতে বেঁচে থাকা নারীরা

আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তীকালীন বিচার কেন্দ্র (আইসিটিজে) এর একটি মাল্টিমিডিয়া প্রকল্প মর্যাদার কণ্ঠ দু’জন কলম্বিয় নারী ইয়োলাদিস জুনিগা এবং পেত্রোলিনা মেন্দোজার কাহিনী বলেছে। আধাসামরিক বাহিনী তাদের স্বামীদের হত্যা এবং গ্রাম আক্রমণ করার পরে তারা তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন।

প্রকল্পটি ২০১২ সালের নভেম্বরের শেষে অনলাইনে পুরোটা দেখার মতো তিনটি ছবির গ্যালারী এবং একটি ২২ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করেছে।

মর্যাদার কণ্ঠের প্রযোজক মার্তা মার্টিনেজ লিঙ্গ সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬দিনের এক্টিভিজম প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে উইটনেস (স্বাক্ষী) এর জন্যে একটি অতিথি পোস্ট লিখেছেন। এখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন:

ইয়োলাদিস জুনিগা এবং পেত্রোলিনা মেন্দোজা তাদের গ্রামে ডানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর একটি আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়। আক্রমণটিতে নারী ও তরুণীরা ধর্ষিত হয়, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং তাদের স্বামীসহ অনেকজন্কে হত্যা করা হয়। গৃহযুদ্ধটিতে বাস্তুচ্যুত প্রায় চল্লিশ লক্ষ লোকের অংশ হিসেবে নারী দু’জন তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে কলম্বিয়ার আটলান্টিক উপকূলীয় শহর বারানকুইলাতে পালিয়ে যায়।

Yoladis Zúñiga

ইয়োলাদিস জুনিগা। আইসিটিজে’র জন্যে ক্যামিলো আলদানা’র ছবি, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

মার্তা এছাড়াও মর্যাদার কণ্ঠের উদ্দীষ্ট বার্তা তুলে ধরেছেন:

কলম্বিয়া সরকার ফুয়ের্জাস আর্মাডা রেভল্যুশনারিয়াস দে কলম্বিয়া [কলম্বিয়ার বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী] (ফার্ক) বামপন্থী গেরিলাদের সঙ্গে নতুন শান্তি আলোচনা শুরু করায় টেকসই শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। আইসিটিজে’র গবেষণা এবং তুলনামূলক অভিজ্ঞতাতে এটা পরিষ্কার যে ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং আক্রান্তদের অধিকার সুনিশ্চিত করা ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন করা সম্ভব হবে না।

আইসিটিজে’র কলম্বিয়া দপ্তরের প্রধান মারিয়া ক্যামিলা মোরেনো’র ভাষায়, “আক্রান্তরা শুধু একটি সংখ্যা নয়। তারা অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন রক্ত-মাংসের মানুষ। তাদের ক্ষতিপূরণের অধিকার পূরণের জন্যে কলম্বিয়া যেসব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য সে সম্পর্কে তাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে।”

Petronila Mendoza

পেত্রোলিনা মেন্দোজা। আইসিটিজে’র জন্যে ক্যামিলো আলদানা’র ছবি, অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

ইয়োলাদিস জুনিগা এবং পেত্রোলিনা মেন্দোজার শক্তিশালী সাক্ষ্যের মাধ্যমে মর্যাদার কণ্ঠ সশস্ত্র সংঘাতের শিকারদের জীবনের ভেতরের একটি ঘনিষ্ঠ চিত্র তুলে ধরেছে। আইসিটিজে’র একটি নিবন্ধ মর্যাদার কণ্ঠে যোগ করেছে:

ইয়োলাদিস এবং পেত্রোলিনার  কাহিনী বর্ণনা করে মর্যাদার কণ্ঠ রূপান্তরশীল সমাজের পরোক্ষভাবে ক্রিয়াশীল হিসেবে সংঘাতের শিকার নারীদের বাঁধাধরা ছক ভেঙ্গেছে। এর পরিবর্তে এটি তাদেরকে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং তাদের নেতৃস্থানীয় হিসেবে প্রতিভাত করেছে; তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের জন্যে  তারা শিকার নয় বীরের সমান।

মার্তা বলেছেন যে এই মাল্টিমিডিয়া প্রকল্পের লক্ষ্য হলো “কলম্বিয়া এবং অন্য যে কোন স্থানে আক্রান্তদের মৌলিক অধিকার: সত্য, স্বীকৃতি, এবং প্রতিকারের অধিকার পুনর্নিশ্চিত করা।”

মর্যাদার কণ্ঠ স্প্যানিশ ভাষায় [স্প্যানিশ ভাষায়] পাওয়া যাচ্ছে এবং শীঘ্রই আরবীতে পাওয়া যাবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .