ব্রাইবর [1] [রুশ; প্রযুক্তি কেন্দ্র [2], ফেসবুক [3]] আইফোন/আইপডের নতুন চালুকৃত এমন প্রযুক্তি (অ্যাপ) যা রাশিয়ায় যে কাউকে প্রদানকৃত ঘুষের পরিমাণ ও স্থান সনাক্ত করণে সহায়তা করে। পরবর্তীতে, গ্রহণকৃত ঘুষের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রদান করা সম্ভব হয়।
ব্রাইবর ইস্তেহার [4] অনুসারে,
[…] ডাক্তার, সেনাবাহিনী, শুল্ক বিভাগ – কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন বেতনভুক কর্মী তাদের কাজের জন্য ঘুষ প্রদান করতে হয়, অন্য ক্ষেত্রে আইনগুলি এমনভাবে লিখিত যে তাদের লঙ্ঘন করা অসম্ভব […]। কখনো কখনো আমরা নিজেরাই ঘুষের প্রস্তাব দেই, কখনো জোরপূর্বক আমাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় – কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণ ও প্রদান করা হয় কারণ তা কর্ম সংস্কৃতির অংশ হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল [5] কর্তৃক প্রকাশিত ২০১১ সালে, দুর্নীতির সূচকে ১৮৩টি দেশের মধ্যে রাশিয়া অবস্থান ছিল ১৪৩ [6]।
ব্রাইবর ওয়েবসাইট [1] [রাশিয়ান] মিটার সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১২ তারিখে ঘুষের জন্য ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ১,৭৯৫, ২৯৫ রুবল (৫৮,০০০ ডলার) প্রদর্শন করছে। ওয়েবসাইটের আরও একটি মানচিত্র ও পরিসংখ্যান আছে- ”কে” এবং ”কিসের জন্য” রাশিয়ানরা ঘুষ দিচ্ছে (পূর্বেরটিতে রয়েছে ১৪টি অন্তর্ভুক্তি এবং আদালত ও ট্রাফিক পুলিশ তালিকার শীর্ষে রয়েছে)।
ব্রাইবর ইস্তেহার প্রকল্পটিকে অরাজনৈতিক হিসাবে বর্ণনা করেছে:
[…] ব্রাইবরের লক্ষ্য হচ্ছে সংখ্যা প্রদর্শন করা। মতামত ও সিদ্ধান্ত আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
ব্রাইবর দলের সদস্যরা, তদুপরি, বিশ্বাস করে জ্ঞান ও সামাজিক দায়িত্ববোধ ইতিবাচক পরিবর্তনের চাবিকাঠি এবং এরই ধারাবাহিকতায় রাশিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী প্রতিবাদ (গ্লোবাল ভয়েসেসের প্রতিবেদন এখানে [7] এবং এখানে [8]) সম্পর্কে ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে:
[…] রাশিয়ায় ঘুষ একটি সাধারণ বিষয় তা সকলেই অবগত। কিন্ত্ত প্রত্যেকেই আরও অবগত যে নির্বাচনের সময় কোন জাল ভোটের ঘটনা ঘটে না – এবং ডিসেম্বর ৪ তারিখে পর্যবেক্ষকরা যখন বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ভোট চুরি প্রদর্শন করল, জনগণ তখন রাস্তায় নেমেছিল। অবগত হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকেই ঘুষ দেয় এবং রুবলিওভস্কোয়ি সুসে এলাকায় [আকা রুবলিওভকা [9], মস্কোর বিত্তশালী আবাসিক এলাকা] দ্বিতীয় বিশেষ রেজিমেন্ট [ট্রাফিক পুলিশের] কি পরিমাণ গ্রহণ করে [ঘুষ] তা জানা প্রয়োজন। […]
সেখানে ব্রাইবর একমাত্র গণ উৎস মঞ্চ নয় যা ঘুষ ও দূর্নীতি অনুসন্ধান করে।
এটির সোভিয়েত উত্তর-সুপ্ত উত্তরসূরী -vzyatka.crowdmap.com [10][রাশিয়ান] – যা NewReporter.org [11]/ইন্টারনিউজ [রাশিয়ান] কর্তৃক মার্চ, ২০১১ সালে চালু করা হয় এবং শুধুমাত্র দুই মাস চালু অবস্থায় ছিল এবং এটিতে ২০টির বেশী প্রতিবেদন ছিল না।
ভারতে, আমি ঘুষ দিয়েছি [12] হচ্ছে একটি গণ উৎস উদ্যোগ, যা আগস্ট ২০১০ সালে চালু হয়েছিল যা ”জনগণকে [উৎসাহিত করা] দাপ্তরিক ক্ষমতা অপব্যবহারের কারণে অর্থ প্রদানে বিরত করা এবং তাদের ঘুষের কাহিনী প্রকাশ করা যা থেকে দুর্নীতির বাজার মূল্য উন্মোচিত হয়” (গ্লোবাল ভয়েসেস প্রতিবেদন এখানে [13])।
ভারতীয় সহযোগীদের মাধ্যমে ও মডেল অনুসারে মে, ২০১২ সালে কেনিয়ার দুর্নীতি বিরোধী কর্মীরা তাদের নিজস্ব আমি ঘুষ দিয়েছি [14] প্রকল্প চালু করেছে (গ্লোবাল ভয়েজ প্রতিবেদন এখানে [15])।
এবং জুলাই, ২০১২ সালে, কলাম্বিয়াতে মনিটর ডি করাপশন [16] [স্প্যানিশ ভাষায়] (”দুর্নীতি পর্যবেক্ষণ”) চালু করা হয় [17]; আইজেনেট অনুসারে [18], এটি “দুই স্তর বিশিষ্ট প্রতিবেদন পদ্ধতি ব্যবহার করে যা সাংবাদিক ও নাগরিক উভয়ের জন্য তাদের গোষ্ঠী, শহরে এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রে, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের দুর্নীতি বিষয়ক প্রতিবেদন প্রদানের উপযোগী[…]”
মাইকেল ইডভ, জিকিউ রাশিয়ার প্রধান সম্পাদক, তার ফেসবুক পেজে রাশিয়ান ব্রাইবর প্রকল্প সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন [19]:
[…] এটি কার্যকরী হলে, রাশিয়ান দুর্নীতির প্রকৃত উইকি-চিত্রের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বিশ্ব দেখতে পারবে।[…]