পর্তুগিজ আলোকচিত্র শিল্পী এদুয়ার্দো লিয়াল একটি অনলাইন ছবির গ্যালারী প্রকাশ করেছেন, যার লক্ষ্য হলো “[হুগো] শাভেজ এবং [এনরিকে কাপ্রিলিস] উভয় পক্ষের সমর্থকদের একটি কণ্ঠস্বর প্রদান।” এদুয়ার্দো ‘একটি নির্বাচনের চেহারা ও কণ্ঠস্বর‘-এ ৭ই অক্টোবর, ২০১২ তারিখ রবিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভেনিজুয়েলার জনগণ কাকে ভোট দিবেন ব্যাখ্যা করার সময় তাদের চিন্তা এবং অনুভূতি বন্দি করার প্রয়াস পেয়েছেন।
তিনি প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ সরকারের গত ১৪ বছরের উপর একটি সংক্ষিপ্ত ধারণাসহ তার অনলাইন গ্যালারির ভূমিকা শুরু করেছেন:
তার সঙ্গে সঙ্গে একটি নতুন সমাজতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এসে পূর্বে সৌন্দর্য প্রতিযোগীদের এবং লাতিন আমেরিকা মুক্তিদাতা সাইমন বলিভারের জন্মস্থানের জন্যে সমধিক পরিচিত দেশটির চেহারা পরিবর্তন করে[ফেলেছে]।
দরিদ্রদের জন্যে গৃহসংস্থান সুবিধা এবং স্কুল কর্মসূচীসহ সামাজিক সংস্কার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যাদের কথা বলার কণ্ঠ ছিল না তাদের কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এদুয়ার্দো ব্যাখ্যা করে চলেন যে বহু বছর ধরে শাভেজ ন্যূনতম বিরোধিতা নিয়ে শাসন চালিয়েছেন। এই সব বিরোধী্রা “মূলতঃ একটি অভিজাত গোষ্ঠী যারা দশকের পর দশক ধরে একটি তেল সমৃদ্ধ দেশে বসবাসের বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতো, “তিনি বলেছেন। তবে এদুয়ার্দো উল্লেখ করেছেন যে বছরের পর বছর ধরে শাভেজের বিরোধীতাকারীরা সমস্যা হিসেবে ক্রমেই আরো প্রকটিত হয়ে উঠছে।
রাস্তায় সহিংসতা কখনো এমন মাত্রায় দেখা যায়নি। যার ফলে কারাকাস বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে চলে এসেছে। বিদ্যুৎ ও খাদ্য সংকট, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি এবং দাহ্য বক্তৃতা রাষ্ট্রপতির জ্বালাময়ী বক্তৃতা বিরোধীদের জন্যে নতুন ঝড় ও সুযো্গের সৃষ্টি করেছে।
এদুয়ার্দো ভেনিজুয়েলার সমাজের বর্তমান বিভক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকেন:
একদিকে শাভিস্তাস নামে পরিচিত শাভেজ সমর্থকরা আর অন্যদিকে রয়েছে মধ্যবিত্ত ও বরাবরের মতো অভিজাত ছাড়াও দেশের একটি পরিবর্তন প্রত্যাশী সাধারণ জনগণ।
তিনি “বিরোধীদের উত্থান” এর চেহারা এবং “রাষ্ট্রপতি হুগো শাভেজকে প্রথমবার চ্যালেঞ্জ করতে পারার মতো ব্যক্তি” হিসেবে শাভেজের প্রতিপক্ষ এনরিকে কাপ্রিলিসকে নির্দেশ করেছেন।
এদুয়ার্দো এই প্রকল্পটি দিয়ে “ভেনিজুয়েলার জনগণ তাদের দেশের যে পরিবর্তন এবং আশা-ভরসার কথা ভাবছে সে সম্পর্কে একটি ভাল বোধগম্যতা তৈরি” করতে চান।
ভেনিজুয়েলার ‘চেহারা এবং কণ্ঠ’ সম্পর্কে আরো দেখতে ও পড়তে চাইলে তার অনলাইন গ্যালারী পরিদর্শন করুন।
এছাড়াও টুইটার (@এদুয়ার্দোলিয়াল৮০), ফেসবুক, এবং টাম্বলার এর মাধ্যমে আপনি এদুয়ার্দো এবং তার কাজের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন।