চীন : জাপান-বিরোধী বিক্ষোভে মাওবাদীদের প্রত্যাবর্তনে উদ্বেগ

চীনে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৮ তারিখের মধ্যে ঘটে যায় ধারাবাহিকভাবে জাপান-বিরোধী বিক্ষোভগুলোতে মাওবাদীদের সরব উপস্থিতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে দাঁড়িয়ে মাওবাদীরা জাতির পিতার স্তুতি মূলক স্মৃতি জাগানিয়া স্লোগান দিচ্ছিল, এই সময় তাদের হাতে ছিল সভাপতি মাও এর প্রতিকৃতি।

চীনের রাজনৈতিক পটভূমিতে মাওবাদীদের প্রত্যাবর্তন অনেক বুদ্ধিজীবীর মনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব এর মতো একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি ও মামলার ঐতিহাসিক তিক্ত স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছে। যার কারণে ১৮ তারিখের বিক্ষোভে মাওবাদী অধ্যাপক হান ডেকিয়াং কর্তৃক আশি বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধের প্রহৃত হবার ঘটনাটি চীনের ক্ষুদ্র ব্লগগুলোতে বিগত কিছুদিন ধরে বিশেষ মনোযোগ পাচ্ছে।

জাপান-বিরোধী বিক্ষোভে মাওবাদী বামপন্থীরা

লাও য়ে তার ক্ষুদ্র ব্লগে জাপান-বিরোধী মিছিলে মাওবাদীদের প্রত্যাবর্তন বিষয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত [চাইনিজ ভাষায়] করেছেন:

জাপান-বিরোধী মিছিলে লাল ব্যানার এবং সভাপতি মাও এর ছবি নিয়ে মাওবাদী বিক্ষোভকারীরা।

জাপান-বিরোধী মিছিলে লাল ব্যানার এবং সভাপতি মাও এর ছবি নিয়ে মাওবাদী বিক্ষোভকারীরা। ছবি: লাঅ য়ে ওয়েইব

【从“小平您好”到“毛主席,人民好想您”】9月18日,北京学生和群众举行抗曰游荇。毛泽东的画像和标语异乎寻常的多。有学生打着“毛主席,人民好想您”的横幅。84年学生打着“小平您好”的横幅,曾作为历史的一个标志。但是今天,没有看到任何人举邓的画像或标语。这种变化值得关注

[“জাওপিংএর পক্ষ থেকেসভাপতি মাওএর প্রতি স্বাগতম: মানুষ সত্যই তোমার অভাব অনুভব করে”] সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখের বিক্ষোভে বেইজিং এর ছাত্র ও সাধারণ বিক্ষোভকারীদের অনেকেই মাও এর চিত্র ও ব্যানার বহন করছিলো । উল্লেখ্য, যে স্লোগানটি সবচেয়ে বেশি ব্যানারে দেখা গেছে তা হলো- সভাপতি মাও, মানুষ সত্যই তোমার অভাব অনুভব করে। যদি আমরা ১৯৮৪ সালে ফিরে যায় দেখব- ছাত্ররা ‘স্বাগতম জাওপিং’ লেখা ব্যানার বহন করত, সেই ব্যানারই পরবর্তীকালে চীনের নতুন যুগ [অর্থনৈতিক সংস্কার] এর সূত্রপাতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে।। আজ আমরা কোন মানুষকে হাতে দ্যাং এর ছবি বা মুখে স্লোগান বহন করতে দেখি না। এই ধরনের পরিবর্তনের বিশেষ কিছু প্রভাব রয়েছে।।

কোন পূর্বাভাস ছাড়াই বেইজিং এর সমাবেশে এক নাটকীয় ঘটনার উদ্ভব হয়- যখন মাওবাদীরা ‘সভাপতি মাও, মানুষ সত্যই তোমার অভাব অনুভব করে’ বলে চিৎকার করছিল, তখন আশি বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধ জাপান-বিরোধী বিক্ষোভকারী তাদের বিদ্রূপ করে বলতে থাকে: ‘আমার পশ্চাৎদেশকে মনে পড়ে।’

একজন বিক্ষোভকারী তাকে প্রহার করে এবং তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। পরে একজন ব্লগার প্রহারকারীপরিচয় [চাইনিজ ভাষায়] নিশ্চিত করেন হান ডেকিয়াং, যিনি একজন প্রখ্যাত জাতীয়তাবাদী এবং মাওবাদী ওয়েবসাইট “উটোপিয়া“‘র প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি বেইজিং বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন শিক্ষক।

এই ঘটনার পর হান একটি আক্রমণাত্মক বিবৃতি [zh] লিখে বিভিন্ন ব্লগ ও মহলে ব্যাপক প্রচার শুরু করেন:

我一向反對打人,一向主張和平說理。但是,遇到不講理的人,遇到造謠、誹謗、污蔑開國領袖,破壞中國人民團結,給日本當漢奸的人,我忍無可忍,不能再忍!寧可為此被拘留,也不能讓這等漢奸放肆、猖獗!…… 在群情激憤聲討小日本、想念毛主席的游行隊伍中,不容許出現這種明目張膽的漢奸言論。今後如果在游行隊伍中遇到這樣的漢汗,該出手是我還會出手!犯了法的,我認罪伏法,但絕不認錯。

সাধারণভাবে আমি সহিংসতার বিরোধী এবং যুক্তিনির্ভর ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার পক্ষপাতি। কিন্তু যদি এমন ঘটনার মুখোমুখি হই যাতে, কোন এক নির্বোধ চীনের মানুষের সংহতি বিনষ্ট এবং বিশ্বাসঘাতকদের মতো জাপানি স্বার্থ রক্ষা করতে জাতির পিতা সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করছে, তাহলে আমি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। এক্ষেত্রে আমি তাকে আক্রমণ করব এবং উচিত শিক্ষা দিব… নগণ্য জাপানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সভাপতি মাওকে স্মরণ করার জন্য সমাবেশটির আয়োজন করা হয়, এমন একটি আয়োজনে আমি একজন বেপরোয়া বিশ্বাসঘাতকের কথা সহ্য করতে রাজি নই। আমি যদি ভবিষ্যতে কোন সমাবেশে এমন ঘটনা দেখি তাহলে এবার যা করেছি আবারো তাই করবো। এই আইন ভাঙ্গার জন্য আমি নিয়ম মাফিক শাস্তি পেতে রাজি কিন্তু কখনোই ক্ষমা চাইবো না।

আপনি এটা শুনে আশ্চর্য হবেন যে কিছু মানুষ সত্যই হানের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।[zh]:

@张宏良:【支持韩德强正义之举,坚决打击汉奸】全世界所有国家都有捍卫信仰自由的权利,美国一部影片侮辱了伊斯兰的信仰,形成世界反美风暴。为什么唯独中国人民没有信仰自由?没有信仰毛主席的自由?没有捍卫自己信仰的自由?为什么专门立法允许任意侮辱毛主席?而人民群众却没有任何捍卫自己信仰的法律权利?

জ্যাং হোংগলিয়াং: [কোন দ্বিধা ছাড়াই বিশ্বাসঘাতক নির্মূলে হান ডেকিং এর কর্মপন্থা কে সমর্থন করুন] প্রত্যেক দেশেরই তাদের বিশ্বাসকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র বিশ্ব জুড়ে মার্কিন-বিরোধী প্রতিবাদের ঢেউ তুলেছে। তাহলে আমরা শুধু চীনে কেন ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবো না? কেন আমাদের সভাপতি মাও এর আদর্শে বিশ্বাস করার ও তা সমুন্নত রাখার স্বাধীনতা থাকবে না? মানুষ যেখানে নিজের বিশ্বাসকে সমুন্নত রাখার অধিকার পাচ্ছে না, সেখানে কীভাবে আমরা এমন আইনকে প্রশ্রয় দিতে পারি যা কিছু মানুষকে সভাপতি মাও এর প্রতি কটাক্ষ করার স্বাধীনতা দেয়?

天马101:红潮的来临,摧毁了一切妄想变色中国的阴谋破产。美国及一切国内西奴走狗妄图在中国的阿拉伯自由之春没有迎来。却迎来了一场一切反动派谈之色变的毛泽东思想大潮。这不是以他们意志为转移的,人民向往的春天之风使他们始料不及!也一定会让那些过高估计中国汉奸西奴力量的外国势力重新评价中国人民!

তায়িনমা ১০১: লালঢেউ চীন পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার দাসেরা চীনে আরব-বসন্ত নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছিলো, কিন্তু এখন তারা হতাশ হয়ে দেখছে মাওবাদী চিন্তাধারার এক বিশাল ঢেউ আবার ফিরে আসছে। এই দৃশ্য বিপ্লব-বিরোধীদের মুখমণ্ডল ফ্যাকাসে করে তুলেছে। এ ঢেউ তাদের ইচ্ছে মাফিক পরিবর্তিত হবে না। মানুষ তাদের নিজস্ব বসন্ত সৃষ্টি করেছে, এটি বিদেশি শক্তিকে চীনে তাদের দাসদের কতটুকু কর্তৃত্ব রয়েছে, সে সম্পর্কে চিন্তার অবকাশ দিবে।

汪海林:事实上,近年来毛左被捕被禁言的不少,一有机会依旧上街公开打出旗帜和画像,这种勇气是yy公知所不能比的,敢于上街亮出身份并表达自己政治观点,是脱离键盘党和嘴炮党的必经之路。

ওয়াং হেলিন :এটা সত্য যে, বিগত কয়েক বছর ধরে অনেক মাওবাদী চিন্তাধারাকে নিপীড়িত ও কাটছাঁট করা হয়েছে। সঙ্গত কারণে নিজেদের ব্যানার ও মাও এর ছবি নিয়ে রাস্তায় নামার উদ্যোগটি ছিল মাওবাদীদের জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ। অন্তর্জালে নিজের মতামত ব্যক্ত করার চেয়ে রাস্তায় নামা অনেক দৃঢ় পদক্ষেপ।

অবশ্য আক্রমণাত্মক স্বভাবের মাওবাদীদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও কেউ কেউ বক্তব্য রেখেছেন। নিচে কিছু বিরোধী কণ্ঠস্বর উপস্থাপন করা হলো:

范晓杨:与日本的军国主义相比,毛左给中国带来的危害更大,更值得我们警惕

ফ্যান জিওয়াং: জাপানি সামরিকতন্ত্রের তুলনায় মাওবাদী বামপন্থীরা চীনের যে ক্ষতি করেছে তা অনেক বড়। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকবে হবে।

伯林2011:毛时代让中国人的智力、道德以及整个社会的文明水准都急剧

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .