লন্ডনে ক্যামেরুনের সাতজন অলিম্পিক ক্রীড়াবিদের অন্তর্ধান

আমাদের এ পোস্টটি লন্ডন ২০১২ অলিম্পিক- সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ

বর্ণোজ্জ্বল জাতীয় পোশাক পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের আনন্দ দানের পর, লন্ডনের ২০১২ অলিম্পিক ভিলেজ থেকে  গায়েব হয়ে ক্যামেরুনের সাতজন ক্রীড়াবিদ বিশ্বকে নাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সেইস কাকোধার তাঁর ব্লগ পোস্টে বলেন:

এটা একটা পরিকল্পিত অন্তর্ধান, অভিবাসন এজেন্ট এতে নিশ্চিতভাবেই জড়িত। প্রথমে অন্তর্ধান হন ড্রুসাইল গাকো। তিনি ছিলেন মহিলা ফুটবল দলের সংরক্ষিত গোলরক্ষক। সাতারু পল একানে এডিঙ্গুই এরপর দ্রুতই তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। এরপর প্রাথমিক রাউন্ডে বাদ পড়া একজন মুষ্টিযোদ্ধা, এরা একের পর এক অলিম্পিক ভিলেজ থেকে অন্তর্ধান হন। এরা হলেন টমাস এসোম্বা, ক্রিশ্চান ডনফাক আদিউফাক, আবডন মেওউলি, ব্লেস ইয়েপমেউ মেন্ডুএউ এবং সারজ আমবোমো।

লন্ডন ২০১২ অলিম্পিকে একজন ক্যামেরুনীয় ভক্ত।

লন্ডন ২০১২ অলিম্পিকে একজন ক্যামেরুনীয় ভক্ত। ছবি- জনক্যান্ডি (সি সি বাই- এসএ ২.০)

ক্যামেরুনীয় ক্রীড়াবীদ ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সাধারণ অভ্যাস সম্পর্কে ওয়েলকাম টু জেরিলেট ব্লগে বলা হয়:

গুজব বলে যা শুরু হয়েছিল শেষ পর্যন্ত তাই সত্যে পরিণত হল। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণকারী সাত জন ক্যামেরুনীয় ক্রীড়াবীদ অলিম্পিক ভিলেজ থেকে উধাও হয়ে গেছেন,”- মিশন প্রধান ডেভিড অজোং মন্ত্রণালয়কে এক বার্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানান… আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ক্যামেরুনীয় ক্রীড়াবিদদের অন্তর্ধান এবারই প্রথম নয়। অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ফ্রাঙ্কোফোন এবং কমনয়েলথ গেমসের জুনিয়র ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে কর্মকর্তাদের অনুমতি ব্যতিরেকেই কিছু ক্যামেরুনীয় ক্রীড়াবিদ দল ত্যাগ করেন।

বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ক্যামেরুনীয় ক্রীড়াবিদেরা কেন অন্তর্ধান হন ক্যামেরুনঅনলাইন.অর্গ সে বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা করে:

তাঁদের অন্তর্ধান কেবল বিব্রতকরই নয় বরং ক্যামেরুন প্রতিনিধি দলের জন্য সেটা ছিল বড় চমক কারন লন্ডনে বাসরত ক্যমেরুনদের পক্ষ থেকে ক্রীড়াবীদদের সম্মানে গত শুক্রবার রয়্যাল গার্ডেনে ভোজের আয়োজন করা হয়, এতে পলায়নকারীদের মধ্যে চারজন ক্রীড়াবীদ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ক্যামেরুনীয় ক্রীড়াবিদদের এটাই প্রথম পলায়ন নয়। ফ্রাঙ্কোফোন, কমনয়েলথ ও জুনিয়র ফুটবল খেলা থেকে স্কাউট দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে কিছু আফ্রিকান ক্রীড়াবিদ প্রতিনিধি দলের সম্মতি ছাড়াই পলায়ন করেন। এদের মধ্য কিছু অন্য দেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আর বেশিরভাগ ক্রীড়াবীদই হতাশ হয়।

এ সাতজন ক্রীড়াবিদদের উদ্দেশ্যে কিছু টুইটার মন্তব্যঃ

@জিকিইহু:  উধাও হয়ে যাওয়া ৭#ক্যামেরুন ক্রীড়াবিদের প্রতি মন্তব্যঃ ইংল্যান্ডের জীবন কুসুম শয্যা নয়। আমি জানি, আমি একসময় সেখানে ছিলাম।

@জেবেজেং: #৭ জন উধাও ক্রীড়াবীদের বিষয়ে #ক্যামেরুন ক্রীড়া ও শারীরিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে

@ইনফো_এডউইন: #লন্ডন ২০১২ #অলিম্পিক ভিলেজ থেকে পালিয়ে যাওয়া #ক্যামেরুন ক্রীড়াবীদদের সম্পর্কে  দুনিয়া কী ভাববে  কিভাবেই বা তাঁরা সেখানে স্বস্তিতে থাকবে

আমাদের এ পোস্টটি লন্ডন ২০১২ অলিম্পিক- সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .