ভিডিও: ভারত-চীনে মেয়ে শিশু ও নবজাতক হত্যা

ভারত এবং চীনে পিতা-মাতাদের মেয়ে ভ্রূণ বর্জন অথবা মেয়ে শিশু হত্যা এবং পরিত্যাগের কারণে ২০ কোটি মেয়ে “নিরুদ্দেশ” হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিটিকে নিয়ে করা কয়েকটি তথ্যচিত্র এবং প্রতিবেদন প্রাণঘাতী এই লিঙ্গবৈষম্যের বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা এবং এ সম্পর্কে কী করা যায় তা বের করতে চেষ্টা করেছে।

Screenshot from the Trailer of It's a Girl

এটি একটি কন্যা’র ট্রেইলার থেকে নেয়া স্ক্রিনছবি

“বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী তিনটি শব্দ” ট্যাগলাইনবিশিষ্ট “এটি একটি কন্যা” তথ্যচিত্রটি সাক্ষাৎকার এবং সরাসরি লোকেশানে চিত্রগ্রহণের মাধ্যমে খূঁজে বের করার চেষ্টা করেছে কেন ভারত ও চীনে ২০ কোটি মেয়ে “নিরুদ্দেশ” হয়ে গিয়েছে এবং এই সমস্যা কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

আরেকটি ফিল্ম মৃত্যুর জন্যে জন্ম আধুনিক ভারতে মেয়ে ভ্রূণ এবং শিশু হত্যার উত্থান সম্পর্কে অনুসন্ধান করছে।

আল্ট্রাসাউন্ড (অতিশব্দ) যন্ত্র এবং লিঙ্গ বাছাই ও মেয়ে ভ্রূণহত্যার মধ্যে সম্পর্ক এবং ভারতে আইনের মাধ্যমে বহনযোগ্য আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্র নিষিদ্ধ করা হলে তা বাছাইকৃত গর্ভপাত বন্ধে সাহায্য করবে কিনা এসব নিয়েও গ্লোবাল পোস্টের জন্যে পোহ সি তেং-এ একটি ভিডিও রয়েছে:

ভারতের নিরুদ্দেশ মেয়েদের এবং ভারতের সমস্ত আর্থ-সামাজিক স্তরকে প্রভাবিত করা একটি সাংস্কৃতিক প্রথা: ছেলেদের ধর্মানুষ্ঠান এবং মেয়েশিশুদের নিয়ে লালন-পালনের ঝামেলা না পোহানো সম্পর্কিত বিশ্বাস সম্পর্কে স্রোতের দিক বদলানোর প্রচেষ্টারত লোকজনের উপর নির্মিত বিবিসি’র ২০০৭ সালের অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রটি । তথ্যচিত্রটি তিন খণ্ডে বিভক্ত অবস্থায় (, , ) অনলাইনে পাওয়া যাবে।

সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি কাড়াপা’র আরতি হোম পরিত্যক্ত শিশুদের – যাদের অধিকাংশই মেয়ে বলে পরিত্যক্ত মেয়েশিশু – আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি মেয়েশিশুদের ধারণ এবং তাদের প্রত্যাশা করার জন্যে কন্যা-সন্তানসম্ভবা মায়েদেরকেও আশ্রয় দিয়ে পার্থক্য সূচিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আরতি হাউস মেয়েশিশু হওয়ার কারণে ইতোমধ্যে একবার প্রত্যাখ্যাত মেয়েদের জন্যে একটি বাড়ি হওয়ার এবং তাদের জন্যে একটি নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করার আশা করে। পরবর্তী এই ভিডিওটির একদম শুরুতে একজন তরুণী শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণে তিনি যে সকল অসুবিধা এবং কষ্ট ভোগ করেন সে সম্পর্কে কথা বলেছেন:

শক্তিশালী নারী চরিত্র সৃষ্টিকারী বিশ্ববিখ্যাত চীনা-মার্কিন ঔপন্যাসিক আঞ্চি মিন পরবর্তী এই ভিডিওটিতে স্বীকার করেছেন “চীনে কে একটি মেয়ে হতে চা্য?” সে কারণে বিভিন্ন আল্ট্রাসাউন্ড এবং পরীক্ষা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি কন্যা সন্তান চাননি এবং তার পুরো গর্ভাবস্থায় তিনি একে একটা ছেলে হয়ে যেতে গোপনে প্রত্যাশা করেছেন।

তাইওয়ানের নেক্সট মিডিয়া এনিমেশন কোন কন্যা জন্মায়নি (চীনে আর) ভিডিও এবং গানের মাধ্যমে চীনের এক সন্তান নীতি এবং  নারীদের তুলনায় পুরুষদের বেশি মূল্য দেয়া সমাজের কারণে সৃষ্ট লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতার ফলাফল অন্বেষণ করছে

সুতরাং চীনে আর কোন মেয়েশিশু জন্ম নেয় না
আমি খুব একাকী অনুভব করছি কেউ আমাকে উষ্ণ করে না
কনফুসীয় সংস্কৃতি পুত্রের পক্ষ নিয়ে কন্যাকে বকুনি দেয়
তাই কোন মেয়েশিশু জন্ম না নিয়ে আমকে শুধুই একা করে দিয়েছে

আমার পিতামাতা আমাকে ঔরসে বেছে নিয়েছেন বংশরক্ষার জন্যে
কিন্তু কনে খুঁজে না পেলে আমি লজ্জা ছাড়া কিছুই বহন করবো না
আপনাকে লম্বা ও শিক্ষিত হতে, আপনার নিজ বাড়ি থাকতে হবে
তিনজনে একজনকে বাদ দিয়ে আপনি কোন বধূ পাবেন না।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .