আজারবাইযান: বিদ্যালয়ে হেজাব পরা নিষিদ্ধ করে আইন চালু করা হয়েছে

বাকুতে হেজাব পরিহিত এক ছাত্রী

গত সপ্তাহে আজারবাইযানের রাজধানী বাকুতে শত শত বিক্ষোভকারী শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা দেশটির বিদ্যালয়ে হেজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। সংবাদ পত্র জানাচ্ছে যে এই ঘটনায় ১২ থেকে ১৬ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এটি এমন এক আদেশ, যাকে অনেক বলছে দেশটিকে মুসলিম প্রভাব থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ইউরোপের কাছে নিয়ে যাবার চেষ্টা, আজারবাইযান অন্য অনেক দেশকে অনুসরণ করে বিদ্যালয়সমূহে ধর্মীয় এই পোশাক হেজাব পরা নিষিদ্ধ করেছে। নতুন এক ধর্মীয় আইনের অধীনে দেশের সরকার গত বছর বেশ কয়েকটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে।

টামাডা টেলস ব্যাখ্যা করছে, দৃশ্যত কেন এই নিষেধাজ্ঞা চালু করা হল

আজারবাইযানের বিদ্যালয় আইন অনুসারে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ের নিজস্ব পোশাক পরতে হবে, যা সোভিয়েট ইউনিয়নের সময়কার স্কুলের পোশাকের কথা মনে করিয়ে দেয়। সরকার যেমনটা বলছে যে, শ্রেণীকক্ষে বাড়তে থাকা সামাজিক বৈষম্য দুর করার লক্ষ্যে এ বছর আবার নতুন করে স্কুলে নির্দিষ্ট পোশাক পরার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

কঠোরভাবে ইসলামের অনুসারীদের আজারবাইযানে সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যদিও বাইরের অনেকে বিশ্বাস করে যে, সরকার দেশটিতে ধর্মীয় মৌলবাদীদের উত্থানের ব্যাপার সচেতন। তবে বেশ কয়েকজন ব্লগার এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগত অধিকারের উপর এক অগণতান্ত্রিক আক্রমণ বলে বিবেচনা করছে। তারা এই কাজটির যৌক্তিকতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। যেমন ব্লগ@গুরাবানফ একে অসহনীয় এক কাজ বলে বিবেচনা করছে

Bu axı demokratiya deyil, zorakılıqdır! Mənə maraqlı deyil, kim İslamı dəstəkləyir, kim islamiyətə qarşı çıxır, kim hicabı dəstəkləyir, kim soyunmağı… Məsələ ondadır ki, bir dövlətin xalqının geyimini əsgər kimi dəyişdirməyə çalışması sadəcə zorakılıq sayıla bilər.[…]

[…]Bu qədər absurd bir qərar ola bilməz zənnimcə. […]Mən dini rejim tərəfdarı deyiləm, amma din azadlığını sonuna qədər dəstəkləyirəm. […] Sadəcə geyimə olan hücum deyil bu, insanların inanclarına qarşı bir hörmətsizlikdir.

এটা কোন গণতন্ত্র নয় বরং এটি এক আক্রমণ! কারা ইসলামকে সমর্থন করে বা কারা তার বিপক্ষে, কিংবা, কারা হেজাব পরাকে সমর্থন করে, আর কারা করে না, তা নিয়ে আমি ভাবি না… এখানে যুক্তি হচ্ছে, যদি কোন একটি দেশ, তার নাগরিকরা কি পরবে, তা এই রকম জোর করে বদলাতে চায়, তাহলে তা এক ধরনের আক্রমণ […]

[…] আমি মনে করি এর চেয়ে আর অদ্ভূত কোন সিদ্ধান্ত হতে পারে না।[…] আমি ধর্মীয় শাসনের সমর্থক নেই, কিন্তু স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করার পক্ষে। […] এটা কেবল পোশাকের উপর আক্রমণ নয়, একই সাথে তা জনগণের বিশ্বাসের প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করা।

সিমাসিজ কুলাদুরাল ব্লগু একই ধরনের মনোভাব পোষণ করেন, যিনি একই সাথে বিবেচনা করেছেন যে শিক্ষা মন্ত্রীর অন্যসব গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে বেশী সচেতন হওয়া উচিত যা শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি করছে।

Misir Mərdanov təhsil mərkəzlərində hicablı şəxslərə qadağa qoymaqdan danışır. Mərdanov yaxşı olardı ki, Azərbaycan təhsilinin səviyyəsindən, təhsildə olan rüşvətdən,[…] danışsın.

[…]

Azərbaycan təhsil sistemində hicab yox, azad təhsil, savadlı, azad, vicdanlı müəllim problemi var.[…]Mərdanov bu problemin necə həll edilməsindən danışsa yaxşı olar.

মন্ত্রী মিসির মারডানোভ শিক্ষালয়ে মাথায় ঢাকা দেবার কাপড় পরাকে নিষিদ্ধ করা ব্যাপারে কথা বলেছেন। তার চেয় শিক্ষালয়ের বিভিন্ন স্তরে যে দূর্নীতি রয়েছে সেই বিষয়ে তার কথা বলা উচিত […]

[…]
হেজাব পরার সাথে আজারবাইযানের শিক্ষা ব্যবস্থার কোন সমস্যা নেই। এখানে স্বাধীন শিক্ষা এবং শিক্ষিত ব্যক্তি, মুক্ত এবং সৎ শিক্ষকের অভাব রয়েছে।[…]

নোটা বেনে এর সাথে একমত:

[…] mənə elə gəlir ki, bu vahid məktəbli forması fikri də bəhanədir. Axı ali təhsil ocaqlarının ki, xüsusi bir forması yoxdur, bəs oraların bəzilərinə niyə başı bağlı qızlar buraxılmırlar?! Maraqlı sualdır, elə deyilmi?

এতে মনে হচ্ছে যে, সব স্কুলের একই রকম পোশাক এ ক্ষেত্রে কেবল এক অজুহাত মাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে এ রকম একই পোশাক পরার নিয়ম নেই, তাহলে যে সমস্ত মেয়েরা মাথা কাপড় দিয়ে ঢাকে, তবে কেন তাদের সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না?! কৌতুহলজনক প্রশ্ন, নয় কি?

যদিও তারা সংখ্যায় সংখ্যালঘু, তারপরে কয়েকজন ব্লগার এই নিষেধাজ্ঞার স্বপক্ষে। রেশচাদবাবালিসব্লগ বিবেচনা করছে যে ধর্ম নিরপেক্ষ একটা রাষ্ট্রের বিদ্যালয়সমূহে হেজাবের কোন স্থান নেই

Yenə də dindarlar demokratiya davası edirlər. Təhsil nazirinin orta məktablərdə başörtüsünü qadağan etməsini bunlar insan haqqlarına hücum kimi qiymətləndirirlər […]

[…]

Din dövlətdən ayrıdı.[…] Məktəb də dövlətin olduğu yerdi. Bəs vicdan azadlığı? deyə o saat hazır sualın dillərində olduğu his edirəm. Vicdan azadlığı deyə inancını bəs niyə mənim beynimə yeritmək istəyirsən? Məcburammı ki sənin həqiqətlərini qəbul edim?

বয়স্ক ধার্মিক ব্যক্তিরা গণতন্ত্রকে পরিহাস করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিদ্যালয়ে মাথা ঢাকার কাপড়কে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে তারা মানবাধিকারের উপর আক্রমণ বলে বিবেচনা করছে[…]।
[…]

ধর্ম রাষ্ট্র থেকে আলাদা। যেখানে রাষ্ট্র, সেখানে বিদ্যালয়। বিশ্বাসের স্বাধীনতার বিষয়টি আসলে কেমন? আমি মনে করি এটা এমন এক প্রশ্ন যা শুরুতে করা উচিত। কেন আপনি বিশ্বাসের স্বাধীনতার নামে আপনার স্বীকারোক্তিকে আমার উপর প্রয়োগ করতে চাইছেন? আমি কি আপনার সততাকে গ্রহণ করব?

সংবাদ অনুসারে, আজকে পর্যন্ত, কয়েকজন বাবামা এই বৈষম্যমূলক আইনের প্রতিবাদে তাদের মেয়েকে স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে গত সপ্তাহের প্রতিবাদকারীদের ভিডিও প্রদর্শন করছে, যে ভিডিও প্রদর্শন করছে যে এই বিষয়ে প্রতিবাদকারীরা মূলত পুরুষ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .