দক্ষিণপূর্ব এশিয়া: ফুটবল নিয়ে ব্লগিং

ছবি নি এনগুইয়েন এর ফ্লিকার পাতা থেকে এবং সিসি লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত

দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে ফুটবল নিয়ে অনেক ব্লগ আছে যেগুলো এই অঞ্চলের ফুটবল খেলা সংশ্লিষ্ট সংবাদ আর সাম্প্রতিক ঘটনা জানায়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ফুটবল ব্লগিং নিয়ে ইমেইলের মাধ্যমে আমি সাক্ষাৎকার নিয়েছি ভিয়েতনাম ফুটবল ব্লগের এরিক বুইয়ের আর ক্যাম্বোডিয়া ফুটবল রোব্রুম ব্লগের চামরুনের।

এরিক ভিয়েতনামে ফুটবলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানিয়েছেন:

ভিয়েতনামে ফুটবল অবিসংবাদিতভাবে প্রধান আর সব থেকে বেশী সমর্থিত খেলা। ১৯৮০ সাল থেকে এর বাৎসরিক ভি-লিগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ভিয়েতনাম যখন উত্তর আর দক্ষিণ ভিয়েতনামে বিভক্ত ছিল, দুটি জাতীয় দল ছিল… ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম একত্র হওয়ার পরে, ভিয়েতনামের ফুটবল দীর্ঘদিন থেমে ছিল। ১৯৯১ সালে ভিয়েতনাম জাতীয় ফুটবল দল তাদের প্রথম আর্ন্তজাতিক খেলা খেলে।

তখনকার তুলনায় ভিয়েতনামের ফুটবল অনেক উন্নতি করেছে। ভিয়েতনামের জাতীয় দল আর ভি-লিগ আসিয়ানের সব থেকে ভালো।

ইংরেজীতে ভিয়েতনামের ফুটবল নিয়ে ব্লগ রাখার ব্যাপারে এরিক তার চালিকা শক্তির কথা জানিয়েছেন।

ভিয়েতনামের অসংখ্য ফুটবল সাইটের তুলনায়, নেটে স্থানীয় ফুটবল নিয়ে ইংরেজী সাইট খুব কম। এই কারনে আমি ভিয়েতনাম ফুটবল ব্লগ শুরু করি আমার দেশের ফুটবল সম্পর্কে মানুষ আরো জানতে পারে সেই উদ্দেশ্যে। বিদেশে আমার অনেক বন্ধু আছে যারা ফুটবলের ভক্ত। তারা প্রায় আমাকে ভিয়েতনামের ফুটবল নিয়ে প্রশ্ন করেন কারন খুব কম তথ্য পাওয়া যায়। তাই এই ব্যাপারে আমি মনে করি ইংরেজী ফুটবল ব্লগ ভিয়েতনাম আর বিশ্বের মধ্যে জরুরী সংযোগ হিসাবে কাজ করবে। আমার ভালোবাসা আর ফুটবল সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান আছে তাই ভিয়েতনামের ফুটবল নিয়ে আমি ব্লগিং করতে ভালোবাসি।

চামরুন ক্যাম্বোডিয়ার প্রথম ফুটবল ব্লগার। তার ক্যাম্বোডিয়া ফুটবল রোব্রুম ব্লগের মাধ্যমে তিনি ক্যাম্বোডিয়ার ফুটবল খেলা সম্পর্কে তথ্য জানিয়েছেন।

জুলাই ২০০৮ এ আমি আমার ব্যক্তিগত ব্লগ শুরু করি। আমার মূল লক্ষ্য হলো ক্যাম্বোডিয়ার ফুটবল সম্পর্কে সংবাদ ছড়ানো।

আমি লক্ষ্য করেছি যে আমাদের দুই প্রতিবেশী দেশ, থাইল্যান্ড আর ভিয়েতনামের আমাদের থেকে ভালো ফুটবলের কর্মসূচী আছে। খেলোয়াড়দের ভালো বেতন দেয়া হয়। কিন্তু ক্যাম্বোডিয়াতে ফুটবল খেলোয়াড়রা আসলে ভালো পরিস্থিতিতে নেই। বেশীরভাগ বিনামূল্যে বা কম টাকায় খেলেন। তবে আমাদের ফুটবল গত পাঁচ বছরে অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। এখন আমাদের একটি প্রফেশনাল লিগ আছে যা একটা ভিয়েতনামী কোম্পানী স্পন্সর করছে।

এরিক আর চামরুন এই অঞ্চলের অন্যান্য ফুটবল ব্লগের সাথেও লিঙ্ক করছেন। তারা এইসব ওয়েবসাইটের কথা বলেছেন: ইন্দোনেশিয়া আর সিঙ্গাপুরের জন্য জাকার্তা ক্যাজুয়াল, থাই পোর্ট ফুটবল ক্লাব থাইল্যান্ডের জন্য, সিঙ্গাপুরের জন্য এস-লিগ: ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার্স, ফিলিপিনো ফুটবল ফিলিপাইন্সের জন্য, সকার মিয়ানমার, মালয়েশিয়া থেকে ফাউল আর আসিয়ানফুটবল.অর্গ যারা আঞ্চলিক খেলার আপডেট দেয়। এইসব ব্লগ স্থানীয় ফুটবল ওয়েবসাইটের সাথে সংযোগ রাখে।

মালায়শিয়ার ব্লগ ফাউল এর লেখক হারেশ দেওল খেলায় বেটিং (বাজী লাগানো) নিয়ে আলোচনা করেছেন যেটা কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়াতে বড় ব্যাপার ছিল।

খেলায় বাজী লাগানো করাকে আইনসিদ্ধ করার কথা অনেকেই বিরোধিতা করছেন। জুয়া খেলা সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত না- বহু বা কম যেই হোক না কেন। রাজনীতিবিদরা এই বিষয়টাকে ব্যবহার করছেন দাবি করতে যে তারা কতো সঠিক আর ধর্মীয়। সরকারের উচিত পরিস্থিতি ঠিকমতো ব্যাখ্যা করা।

আমি জুয়ার পক্ষে নই, যেমন ধূমপানের পক্ষেও নই। যদি এটা অস্বাস্থ্যকর হয়, তাহলে অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু আমাদের রিঙ্গিত (লেখকের নোট: মালয়েশিয়ার মুদ্রা) বাইরে যাওয়ার প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্য এটা যদি ভালো কোন ব্যবস্থা হয় আর সরকারের আয়ের একটা পথ হয়, তাহলে কেন নয়?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .