আফ্রিকাবাসীরা অনলাইনে তাদের ছেলেবেলার গল্প তুলে ধরছে

দ্যাট আফ্রিকান গার্ল (সেই আফ্রিকার মেয়ে) হচ্ছে একটি ব্লগ যেখানে সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আফ্রিকাবাসীদের ছেলেবেলার গল্প পোস্ট করা হয়। এটি একটি ব্লগ যেখানে বিশ্লেষণ করা হয় আফ্রিকার পরিবারে বেড়ে ওঠা এবং দুটি জগৎে সহাবস্থানের অভিজ্ঞতা। যেসব ব্লগার এখানে লিখে থাকেন তারা আফ্রিকার কোন দেশ এবং কোন পশ্চিমা দেশ, উভয় স্থানে বসবাস করেছেন।

মাকাফুই ফিআভি এবং অ্যাডে টেশোম এই ব্লগটি শুরু করেছেন। মাকাফুই টোগোতে জন্ম নিয়েছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বড় হয়েছেন এবং অ্যাডে একজন তরণী ইথিওপিয়ান আমেরিকান।

মাকাফুইয়ের স্বাগত বাণী এখানে রয়েছে:

কলেজের দিনগুলোতে অনেক লোক সময় নেয় তাদের নিজেদেরকে এবং তাদের পারিপার্শিক বিশ্ব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। অনেকেই এই চেষ্টা করে থাকে নিজেদের বিভিন্ন পরিচয়ে দেখার চেষ্টা করে, অথবা বিভিন্ন সামাজিক চক্র বা ধ্যান ধারণার অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করে। আমার জন্যে কলেজের চার বছর আমার বিভিন্ন পরিচয় আবিষ্কার করতে কেটেছে এবং আমার ছিল এক তীব্র আকাঙ্খা জানতে যে দুই বিশ্বে কি করে সহাবস্থান করা যায়। আমার জন্ম এবং ছোটকাল টোগোতে কেটেছে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা আমাকে বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আকাঙ্খা এনে দিয়েছে, আমি আগ্রহী হয়েছি বিভিন্ন গল্প শুনতে, এবং কিভাবে মানুষদের মিলন ঘটানো যায় তা জানতে। দ্যাট আফ্রিকান গার্ল (সেই আফ্রিকার মেয়ে) হচ্ছে সেইসব ধারণা ও কথোপকথনের সমষ্টি এবং জানা ও জানানোর আকাঙ্খাকে এগিয়ে নেবার প্লাটফর্ম। এখানে আমি বিভিন্ন বিষয়, মানুষ, স্থান, গল্প, স্বপ্ন এবং আবেগকে তুলে ধরি যা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।

অ্যাডে টেশোম এই ব্লগকে একটি “সংস্কৃতির মিশ্রণের স্থান, বহু বিষয়ে আসক্তি, আমাদের মত সারগ্রাহী কিশোর কিশোরীর চিন্তা ভাবনার স্থান” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

যখন আমি এই ব্লগে লেখার জন্যে মনস্থ করি, তখন আমি ম্যাক এর ধারণা “সংস্কৃতির মিশ্রণের স্থান, বহু বিষয়ে আসক্তি, আমাদের মত সারগ্রাহী কিশোর কিশোরীর চিন্তা ভাবনার স্থান” দিয়ে বেশ অনুপ্রাণিত ছিলাম। আমি বলতে চাই, এ জন্যেই আমরা বন্ধু। তার নিজেকে প্রকাশ করার চমৎকার চোখ আছে এবং খুব ভাল ধারণা আছে যা অন্যকে জানানো যায়। এবং আমি এর সাথে সম্পৃক্ত হবার চিন্তাটাকে ভালবেসে ফেলেছিলাম। তাই এই ব্লগের জন্যে আমি হবার চেষ্টা করব একজন কলেজ পাশ করা ইথিওপিয়ান-আমেরিকান তরুণী, চেষ্টা করছি আমার অবস্থান জানার জন্যে এবং জীবনে আমার শেকড় গাড়ার জন্যে, যাতে আমি আমার বক্তব্য সবাইকে জানাতে পারি।

লিজ এ. উগান্ডা/কেনিয়া থেকে একজন প্রদায়ক এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে। এই গুলো তার ছেলেবেলার স্মৃতি:

১) শাস্তি হিসেবে গায়ে আঘাত। আমি সব সময়ই কৌতুহল থাকে যখন আমার এশিয়ার বন্ধুরা তাদের রুমের কোনায় বসার শাস্তির কথা বলে অথবা তাদের রুমে বন্দি থাকার কথা বলে। আমাদের জন্যে শাস্তি ছিল মার খাওয়া। আমার মা উঠোন থেকে খুব সরু গাছের ডাল আনতেন বা আমার বাবা মোটা দেখে আনতেন। অনেক সময় আমাদের নিজেদেরই তা আনতে বলা হত এবং আমাদের উরুতে কয়েকটি বেতের বাড়ি দেয়া হত।

আমেরিকায়, মনে হয় এমন পরিস্থিতি ঘটলে সোশ্যাল সার্ভিসদের ডাকা হবে আর বাচ্চাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তাদের পিতামাতার ঘৃণার চোখে দেখা হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .