ক্যারিবিয়ান অঞ্চল: হ্যারিকেন ‘আর্ল’ কে অনুসরণ করা

আবার সেই সময় এসেছে: হ্যারিকেন এর মৌসুম। আর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ব্লগাররা, যারা পূর্বেও ভয়ঙ্কর ঝড় দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, হ্যারিকেন আর্লের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। এই ঝড় এখন (৩০শে আগস্ট) ক্যাটাগরি ৩ ঝড় হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। পরবর্তী ৩৬ থেকে ৪৮ ঘন্টায়, ধারণা করা হচ্ছে যে আমেরিকা, ভার্জিন দ্বীপ আর পুয়ের্তো রিকোকে আঘাত হানবে হ্যারিকেন আর্ল

যদিও একটা নতুন ঝড় গড়ে উঠছে বার্বাডিয়ান তীরের অদূরে, বার্বোডোস ফ্রি প্রেস আশ্বস্ত হয়েছে যে আর্ল তাদের পাশ কাটিয়ে গেছে:

হ্যারিকেন আর্ল ভেজা ‘বাজান’ আবহাওয়া তৈরি করবে পরবর্তী কয়েক দিনে, কিন্তু আমাদের উত্তরের প্রতিবেশীরা এর দ্বারা বেশ ধাক্কা খাচ্ছেন।

বার্বাডোসের জন্য ভালো খবর হলো যে আবার আর একটা হ্যারিকেন আমাদের বাড়ি থেকে দূর দিয়ে গেল। খারাপ খবর হলো যে পূর্বে আর একটা ঝড় তৈরি হচ্ছে আর ৮০% সম্ভাবনা আছে যে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেটি বিশিষ্ট কোন ঝড়ে পরিণত হবে।

বার্বাডোজ বাসীদের জন্য সহজ নিরাপত্তার ভুল কথায় ভুলে যাওয়া সহজ কারন আমরা ভাগ্যবান বা আশীর্বাদপুষ্ট দীর্ঘ দিন ধরে বড় হ্যারিকেনের ছোবল থেকে বাঁচায়।

কিউবাও মনে হচ্ছে বেঁচে গেছে, হ্যাভানা টাইমস লিখেছে:

সোমবার সকালে হ্যারিকেন আর্ল জোর বেড়েছে যখন এটা উত্তর লিওয়ার্ড দ্বীপ পার হচ্ছে আর ভার্জিন দ্বীপের দিকে যাচ্ছে। মনে হয়না কিউবার কোন অঞ্চল এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিপিটিং আইল্যান্ডস জানিয়েছে যে আমেরিকার জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার বলেছে ‘আর্ল সম্ভবত কলেবরে বাড়বে':

জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার ভবিষ্যদ্বাণী করছে যে এই হ্যারিকেন যুক্তরাষ্ট্রের তীরের দূরে থাকবে, আমেরিকা আর বার্মুডার উন্মুক্ত পানি দিয়ে চলে যাবে বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে…

এই পর্যন্ত আমেরিকার ভার্জিন দ্বীপের ব্লগাররা সব থেকে বেশী কর্মঠ আছেন, হয়তো তারা আর্লের পথে তাই। নিউজ অফ সেন্ট জন বলছে:

বাড়ির মালিক, ভিলার ম্যানেজার আর ব্যবসায়ীরা গত বৃহষ্পতিবার থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, বাইরের আসবাব ভিতরে ঢোকাচ্ছেন আর যা আছে তা বেঁধে রাখছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে, হাতুড়ি মারা আর পেরেক ঠোকার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, সব বন্ধ করছে। স্টর্মক্যারিব জানিয়েছে সোমবার সেন্ট থমাস থেকে বাইরে যাবার সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

আর একটি পোস্টে, এই ব্লগার একটা ভিডিওর স্থিরচিত্র আপলোড করে জানিয়েছে:

আর্ল সামনে আসা থামিয়েছে রাত্রে, আর প্রায় ১২ ঘন্টা তার ক্ষোভ থেমেছে। এখন জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার জানিয়েছে যে ঝড়ের কেন্দ্র উত্তরপূর্ব দিকে যাবে সেন্ট জন হয়ে বিকাল ৬টার দিকে।

ক্রুজ উপসাগরে বিদ্যুৎ নেই। সেন্ট জন স্পাইস ক্যাম সকাল ৭টার দিকে প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটি সর্বশেষ ছবি। লক্ষ্য করে দেখেন এটি ঘোলা এবং ক্যামেরাটি বাতাসে নড়ছিল। তীরে এখনো বেশ কিছু নৌকা ভেড়ানো আছে অদ্ভুতভাবে। আসলেই এদের মধ্যে কয়টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিচ বারে পৌঁছাবে?

পরের আপডেট দেখাচ্ছে যে ‘ক্রুজ উপত্যকার ডিঙ্গী ডক আঘাতে ছিন্নভিন্ন’।

এর মধ্যে সহ ব্লগার লিভ দে লাইভ জানলা শক্ত করে লাগাচ্ছেন আর যতদূর সম্ভব চেষ্টা করছেন আর্লের আগমনের প্রস্তুতির জন্য। তিনি জানাচ্ছেন:

আজ সকালে আর্লের আঘাত কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। প্রচন্ড বৃষ্টি আর বাতাস বইছে। বিদ্যুত যাচ্ছে, আসছে। আর এখন বিদ্যুৎ আর বজ্রপাত হচ্ছে। সৌভাগ্যক্রমে আজ কাজে যেতে হবেনা।

দিন এগোতে থাকলে পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানাবো।

নিউজ অফ সেন্ট জন তাই করছেন: ব্লগের সর্বশেষ পোস্টে জানাচ্ছে যে ‘আর্ল এখন ঠিক দ্বীপের উপরে’; একটা আপডেটে একটা ভিডিও আছে ‘সেন্ট জন থেকে সকাল ৮ টায় তোলা।‘

গ্লোবাল ভয়েসেস ঝড়ের আরো আপডেট পোস্ট করবে পাওয়া গেলে।

এই পোস্টে ব্যবহৃত থাম্বনেইল চিত্রটি “হ্যারিকেন আর্ল ১” তুলেছে ফ্লিকার ব্যবহার কারী ‘আই এম রব'। এটি একটি ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এর আওতায় ব্যবহৃত। ‘আই এম রব’ এর আরও ছবি দেখুন এখানে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .