ভিয়েতনাম: হারিয়ে যাওয়া মেয়ে খুঁজতে বাবা সাহায্য চেয়েছেন নেটিজেনদের

ভিয়েতনামের গুয়েন মিন চাও তার পাঁচ বছরের মেয়ে গুয়েন ত্রুয়াং আনকে শেষ দেখেছেন পনের বছর আগে। তার মেয়েকে খুঁজতে তিনি বিভিন্ন স্থানে গেছেন যেমন হো চি মিন শহর, বিন দুয়াং জেলা আর পার্শ্ববর্তী লাওসেও। তিনি জাতীয় টিভি আর রেডিওতে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন কিন্তু মেয়েকে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ মরিয়া এই বাবা নেটনাগরিকদের সাহায্য চেয়েছেন তার দীর্ঘ দিনের হারানো মেয়েকে খুঁজতে।

মেকং ডেল্টা অঞ্চলের তিয়েন গিয়াং এর বাসিন্দা চাও এর কথা অনুসারে, তার মেয়ে ১৯৯৫ সালের ১০ই ডিসেম্বর থেকে নিরুদ্দেশ। চাও এর মেয়ে আর ভাতিজা দিয়েম মাইকে শেষ পড়শির বাড়িতে খেলা করতে দেখা যায়। দুই বাচ্চার বয়স তখন পাঁচ বছর ছিল।

গত মাসে চাওকে একজন আত্মীয় সাহায্য করেন এক ওয়েবসাইট তৈরিতে যেখানে তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে সম্পর্কে তথ্য আর রিপোর্ট সংগ্রহ করা হবে। নীচে চাও এর ভূমিকার কথা:

Con tôi sinh năm 1990, bị bắt cóc từ cuối năm 1995 ngay tại quê nhà ở Tiền Giang. Bé và một bé gái khác cũng gần bằng tuổi tên Diễm My mất tích vào một buổi chiều cuối năm đó. Gia đình tôi tìm kiếm con tôi bao năm nay cùng với sự giúp đỡ của cơ quan báo, đài, công an nhưng vẫn bặt vô âm tín. Giờ tôi đành gửi gắm chút hy vọng mong manh qua trang web này.

আমার মেয়ে ১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করে। তাকে ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে অপহরণ করা হয় আর এখন পর্যন্ত সে নিখোঁজ। সে আর তার সমান বয়সী আর একটা বাচ্চা মেয়ে একই দিন বিকালে ১৯৯৫ শেষ হওয়ার আগে হারিয়ে যায়। আমার পরিবার এখন পর্যন্ত তাকে খুঁজছে অনেক মানুষ, সংবাদপত্র আর পুলিশের সাহায্য নিয়ে, তবে কোন ফল ছাড়া। এখন আমি আশা করছি এই ওয়েবসাইট আমাদের সাহায্য করতে পারবে…

চাও কৃতজ্ঞ থাকবেন নেট নাগরিকদের কাছ থেকে কোন তথ্য পেলে:

Chúng tôi xin chân thành cảm ơn mọi thông tin về con gái chúng tôi!

আমরা অনেক প্রশংসা করি আমার মেয়ের সম্পর্কে যেকোন ধরনের দরকারী তথ্যের জন্য!

এই ওয়েবসাইট আর মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার চাও এর ইচ্ছা ভিয়েতনামে ভালোভাবে গৃহিত হয়েছে। জানুয়ারী শেষ হওয়ার আগে, প্রায় ১০০,০০০ মানুষ এই ওয়েবসাইট দেখেছেন। চাও হাজার হাজার ফোন পেয়েছেন তার উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে।

চাও আশা করছেন অনলাইন সমাজ তাকে সাহায্য করতে পারবে। ভিয়েতনাম ব্রিজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন:

আমি আর আমার স্ত্রী কখনো আমার মেয়ের হারিয়ে যাওয়া অনুভব বন্ধ করে ভুলে যাইনি। আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে খুব ভালোবাসি। আমরা জানিনা সে আনন্দে আছে কিনা। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, আমি আশা করছি অনলাইন সমাজ আমার মেয়েকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন।

এই লেখক চাও এর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন ওয়েবসাইটে দেওয়া ইমেইল ঠিকানায়। নীচে তাকে দেয়া প্রশ্নের উত্তর:

* এই ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করতে আপনাকে কি উদ্বুদ্ধ করেছিল?

> আমার মনে হয় আমি আমার মেয়েকে পাচ্ছি এই সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইট গুয়েনমিনচাও.কম (nguyenminhchau.com) থেকে দ্রুত জানা যাবে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের গতিতে। আমি জানি সে ১৫ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল, আর আমি কেবল আশা করি আমার মেয়ে এই তথ্য জানতে পেরে বাড়ি ফিরে আসবে।

* আপনি কি বিশ্বাস করেন যে ইন্টারনেট আপনার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারবে?

> হ্যাঁ, আমি এটা বিশ্বাস করি।

* ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আপনি আপনার মেয়ে সম্পর্কে কোন সূত্র বা তথ্য কি পেয়েছেন?

> আমি অনেক সাড়া পেয়েছি, পরামর্শ। এর কিছু আমার বাচ্চা মেয়েকে খোঁজার জন্য খুবই উপকারী।

* এই পর্যন্ত ওয়েবসাইট স্থাপনের পর থেকে আপনি যে ফলাফল বা প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাতে কি আপনি সন্তুষ্ট?

> আমি অনেক মানুষ ও সংবাদপত্রের সাহায্যে অভিভূত। তাদের সাহায্য আমাদের শক্তি যোগাচ্ছে আমার মেয়েকে খোঁজার জন্য।

চাও বলেছেন যে তার সাথে একজন আমেরিকার নাগরিক যোগাযোগ করেছিলেন গুয়েনমিনচাও.কম ওয়েবসাইটকে আরো উন্নত করে আরো তিনটা ভাষায় তথ্য সংযোজনের জন্য: ক্যাম্বোডিয়ান, থাই আর চায়নিজ। ক্যাম্বোডিয়াতে পণ্য রপ্তাণীকারী একটা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যে চাও এর মেয়ের ছবি ছাপাতে রাজি আছেন।

চাও আর তার আত্মীয়দের এই ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে:

truonghoangthai158@yahoo.com

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .