বিশ্ব মন্দা নিয়ে পর্যালোচনা: বাঁচার উপায় এবং ব্যবসার সুযোগ

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সর্বত্র বিষাদ ছড়িয়েছে ও হতাশায় ডুবিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানষের মন এত রাতারাতি হার মানার নয়। অনেকেই কষ্ট করছে এই মন্দার মোকাবিলা করতে। ব্লগাররা বিভিন্ন উপায় জানাচ্ছেন যে কি করে এই মন্দার মোকাবিলা করা যায়। বিশ্বজুড়ে ব্যবসাগুলো মন্দার সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তারা নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে; এমনকি অনেকে এই মন্দায় লাভও করছে। এই পোস্টে, আমি কিছু ব্যক্তি এবং কোম্পানীর উল্লেখ করব উদাহরণ হিসেবে যারা তাদের যথা সাধ্য চেষ্টা করছে এই মন্দাকে মোকাবিলা করতে।

মন্দা হতে বাঁচা

ব্রাজিলের ফ্রাঙ্ক কয়েলহো ডে আলচানটারা মনে করেন মন্দার সময়, কেউ কাঁদে আবার কেউ টিস্যু বেচে। এই মন্দা থেকে বাঁচার জন্য, এই ব্লগার উপদেশ দেয়:

Inove. Melhore o que já existe e venda. A crise só existe para os que choram e compram lenços.

নতুন কিছু প্রবর্তন কর। পুরোনো জিনিসের উন্নয়ন কর ও সেগুলোকে বিক্রি কর। মন্দা শুধু তাদেরই জন্য যারা কাঁদে ও টিস্যু কিনে।

আরেক ব্রাজিলিয়ান ব্লগার এভান্ডো সুদ্রে উল্লেখ করেছেন কঠিন সময় থেকে উত্তরণের জন্যে একটি “ভিতরের শক্তি এবং সংকল্পের আধার” তৈরি করার ব্যাপার:

Problemas e adversidades fazem parte da vida diária, mas quando a crise nos atinge, é bom ter alguma reserva de força interior eresolução. De fato ter algum tipo de reserva na mente, da qual possamos formar um plano básico de ação e defesa com a qual possamos lidar com a situação. Você é a pessoa mais qualificada para ajudar nesta situação.

সমস্যা এবং প্রতিকূলতা আমাদের জীবনের প্রতিদিনের অংশ কিন্তু যখন আমরা মন্দাতে ডুবে যাই, আমাদের ভিতরের শক্তি ও সংকল্পের একটি আধার তৈরি করতে হবে। এমন কি, সেটাই ভালো যদি আমাদের মনে কোনো প্রকার সংকল্প থাকে সব সময়ই, যা অনুযায়ী আমরা আমাদের সাধারণ কার্যকারণ ও সুরক্ষার সিদ্ধান্ত গুলো নিতে পারব এই প্রকার সময়ের মোকাবিলার জন্য। তাহলে এই মন্দা থেকে বের হবার জন্যে আপনি একজন যোগ্য ব্যক্তি।

কিন্তু অনেকে আছে যারা ঋণে জর্জরিত এবং যারা এ থেকে বের হবার উপায় হিসেবে শুধু মাত্র আত্মহত্যার চিন্তা করে। উদাহরণ স্বরূপ ভারতের গুজরাটে ৭০টির বেশি আত্মহত্যা লিপিবদ্ধ হয়েছে, যেখানে হীরার পলিশ কারকরা তাদের কাজ হারিয়েছে।

অনেকে মন্দার বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ করেছে। বিনিয়োগকারীরা (প্রধানত: এন্টিগুয়ার), যারা তাদের টাকা-পয়সা হারিয়েছে আমেরিকান কোটিপতি অ্যালেন স্ট্যানফোর্ডের প্রতারণার শিকার হয়ে, তারা একটি সংগঠন তৈরি করেছেন তাদের ধন ফিরে পেতে। স্ট্যানফোর্ড ভিক্টিমস কোয়ালিশন (স্ট্যানফোর্ড এর শিকার মোর্চা) তাদের সাইটে জানিয়েছে:

স্ট্যানফোর্ড ভিক্টিম কোয়ালিশন একটি আন্তর্জাতিক দল যেটি যুদ্ধ করছে অ্যালেন স্ট্যানফোর্ডের চুরি করা বিলিয়ন ডলারগুলোকে প্রতারিত নিরাপরাধ সকলের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে। এই সকল প্রতারিতরা এন্টিগুয়াতে স্ট্যানফোর্ড ফাইনানশিয়াল গ্রুপ এবং স্ট্যানফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ব্যাঙ্কে তাদের পুঁজি বিনিয়োগ করেছিল। এই দল কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না অথবা কোনো অনুদান নেয় না তাদের সদস্যদের জন্য।

ব্রুনাইতে, ব্লগাররা সমালোচনা করছে সেইসব ব্যাক্তিদের যারা মন্দা থেকে বাঁচতে জাকাতের ফান্ড থেকে অতিরিক্ত অর্থ চেয়েছিল। জাকাত হচ্ছে ইসলামের একটি স্তম্ভ এবং এর মূল নীতি হচ্ছে ধনী কর্তৃক গরীবদের কিছু সম্পদ দেয়া যাদের তা প্রয়োজন। অনেকে আশ্চর্য হয়েছে যে ব্রুনাইয়ের নাগরিকরা যাদের বড় ধরনের ক্রেডিট কার্ড বিল, গাড়ির ঋণ, এবং নিজস্ব ঋণ ছিল তারা এই জাকাতের ফান্ডের থেকে টাকা চেয়েছিল।

এই মন্দা অনেকের মানসিক ও শারীরিক চাপের কারণ হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে শরীরচর্চা কেন্দ্রগুলো ও যোগ কেন্দ্রগুলোতে বেশ ভীড় হয়েছিল যখন সকলে নিজেদের অর্থনৈতিক মন্দার চিন্তা থেকে রেহাই চাচ্ছিল; এবং অনেকে এই প্রকার শরীর চর্চার জন্য বেশ খরচও করছে। সিঙ্গাপুর হচ্ছে এশিয়ার প্রথম দেশ যা এই মন্দার কবলে পরেছিল গত বছর।

কাতারের একজন কর্মচারী হোমেসিকহোম, আবিষ্কার করেছে যে মন্দার কারণে কেনা বেচার নেশাটি কিছুটা কমেছে।

একটি বুলগেরিয়ান সাপ্তাহিক কাপিতাল জিজ্ঞাসা করেছিল তাদের পাঠকদের যে কিভাবে এই মন্দা তাদেরকে আঘাত করেছে। সাইমন জানকোভ প্রাপ্ত তথ্যটি সংক্ষেপে জানিয়েছেন একটি ফোরামে:

আমি উত্তরগুলো এখনও পড়ছি এবং চিন্তার বাইরে কিছু জিনিস পেয়েছি।

ভাড়া বেড়েছে, এবং যারা মর্টগেজ দিতে পারবে, তাদের সংখ্যা কমেছে; কিছু ছোট ব্যবসাগুলো বলেছে যে তাদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা এমন নাজুক অবস্থায় যে তাদের জন্য আরো সুবিধা হয়েছে; টিভি দেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে (কারণ খবর গুলো খুবই খারাপ); কমে গিয়েছে সমাজের ভেদ – এখন শুধু নব্য ধনীরা ধনী ; পড়ার সময় বেশী পাওয়া যাচ্ছে; বাইরের বিশ্বের সাথে সম্পর্ক আরো কমেছে। আমার নিজস্ব পছন্দের: অর্থনীতিতে আরো মজা খোঁজা।

ব্যবসার খাপ খাইয়ে নেয়া

ব্যবসায়ীরা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই মন্দার প্রতিক্রিয়ায় এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে?

কর্মসংস্থান না কমিয়ে, ফিলিপাইন্সের কিছু কিছু কোম্পানী কাজের সময় কমিয়ে দিচ্ছে। বিল্ডিংগুলো কম পরিমাণে ব্যবহার হবার কারণে, ম্যানিলার কিছু বাড়ির মালিকরা অফিসের জন্য ভাড়া কমিয়ে দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়াতে অবস্থিত একটি জাপানী কোম্পানী তাদের ব্যবসার লাভ এবং সঞ্চয় ব্যবহার করেছে তাদের শ্রমিকদের এই দু:সময়ে সাহায্য করতে।

ফিজির ব্যবসা প্রধানরা বর্ধিত সরকারী ন্যূনতম বেতন কার্যকারী করা পিছিয়েছে বলে জানিয়েছে তাদের শ্রমিকদের। তারা সতর্ক দিয়েছে যে বেতন বাড়িয়ে দিলে আরো ছাঁটাই এমন কি কোম্পানী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি একটি দু:সংবাদ ছিল শ্রমিকদের জন্য।

দ্যা এশিয়ান প্যারেন্ট (www.theasianparent.com) এর সম্পাদক রোশিনি মাহতানি বলেছেন ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য খরচের পরিমাণ কমানো নিয়ে -

১. অফিসের জায়গা ছেড়ে দিন। মাসিক সঞ্চয়: ১,৫০০ ডলার
২. ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন। একবারের সঞ্চয়: ৪,০০০ ডলার। মাসিক সঞ্চয়: ১০০ ডলার
৩. ফোনের বদলে স্কাইপ! মাসিক সঞ্চয়: অনুমানিক ১০০ – ১৫০ ডলার
৪. শিক্ষানবিস নিয়োগ দিন। মাসিক সঞ্চয়: ৫০০ ডলার
৫. ভার্চুয়াল মিটিং আয়োজন করুণ। মাসিক সঞ্চয়: ১০০ ডলার
৬. স্কেল। মাসিক সঞ্চয়: ৩০০ ডলার
৭. বেতনের বদলে উদ্দীপনা ভাতা। মাসিক সঞ্চয়: ৭৫০ থেকে ১,০০০ ডলার প্রতি বিপণন কর্মচারীর জন্য।
৮. অংশীদারীত্বে যান । মাসিক সঞ্চয়: ১০০ – ১৫০ ডলার
৯. গাছ বাঁচান (এবং টাকা)। মাসিক সঞ্চয়: ২০০ ডলার
১০. সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং। একবারের সঞ্চয়: ২,৬০০ ডলার

মাসিক সঞ্চয়: ৪,৫০০ থেকে ৫,০০০ ডলার প্রতি মাসে

এক বারের সঞ্চয়: ৬,৬০০ ডলার

ব্রাজিল থেকে মাইকেল মন্টেরো লিখেছেন তার তৎপরতা নিয়ে যেটির শুরু করা হয়েছিল পন্তো ফ্রিওতে: যেই সকল ক্রেতারা দোকান থেকে প্রায়ই কিনে, তাদের জন্য একটি বীমা করা থাকবে। যদি তারা কর্ম হীন হয়ে যায় তবে পণ্য দেয়া হবে এবং তার জন্য অতিরিক্ত কোনো পয়সা নেয়া হবে না। এতে তাদের সাহায্য করা হবে।

O interessante é que essa ação tem como enfoque a atual crise economica, e em seu anuncio busca tirar o temor que existe nas pessoas de comprar e não poder pegar, o que gera queda nas vendas.

Assim, o consumidor poderá voltar a comprar, e fazer o dinheiro movimentar a economia.

Mais do que uma inteligente proposta de marketing, a ação é um serviço ao país, pois – de forma inteligente -, faz a economia nacional girar capital, e consequentemente manter níveis de venda, empregos, etc.

মজার ব্যপারটা হলো যে এই কাজটি এই সময়ের অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে কাজ করে, এবং এই বিজ্ঞাপন দাবি করেছে যে তারা মানুষের চিন্তার উপশম করবে যে তারা হয়ত কোন কিছু কেনার ক্ষমতা রাখে না যা বিক্রয়ের পরিমান কমিয়ে দেয়। এই পদক্ষেপ অনুযায়ী ভোক্তারা আবার কিনতে শুরু করতে পারবে এবং অর্থনীতিতে টাকার যোগান হবে।

আরো চালাকির বুদ্ধি হচ্ছে ভালো সেবা পেলে একটি দেশকে সাহায্য করে, এবং দেশটির অর্থনীতি চাঙ্গা দিতে শুরু করে। এর থেকে বড় পরিমানের কেনা-বেচা, কাজ এবং আরো অনেক তৈরী হয়।

রাশিয়ার “অর্থনৈতিক মন্দার টয়লেট কাগজ”। এই কথাটা এই কাগজে লেখা: কি করা উচিৎ? এটি পাওয়া গিয়েছে ব্লগস অফ নোটস (মস্কো) থেকে

রাশিয়ার “অর্থনৈতিক মন্দার টয়লেট কাগজ”। এই কথাটা এই কাগজে লেখা: কি করা উচিৎ? এটি পাওয়া গিয়েছে ব্লগস অফ নোটস (মস্কো) থেকে

বাণিজ্যের সুযোগ

অনেক ব্যবসা আছে যারা ঠিকই লাভের মুখ দেখছে এই অর্থনীতির মন্দাতেও। অনেকে এই মন্দার থেকে নিজেদের মঙ্গলই বয়ে আনছে।

জাপানে বেশ লাভ করছে এই ব্যবসাগুলো: ছোট এবং মাঝারি কোম্পানীগুলো যেগুলো স্বল্প পরিমাণে বিক্রি করে যেমন কাঁচাবাজারে, ফাস্টফুডের ব্যবসা, ই-কমার্স এর জোগানদার, পাঞ্চিনকো ইণ্ডাস্ট্রি (যারা গেইম বানায়)।

জাপান থেকে চিকারা ইকি জানিয়েছেন যে কিভাবে এই মন্দাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে

100年に一度と言われている経済危機、考え方を変えると100年に一度のチャンスかもしれない。不況業種も含め、全ての産業に言えることかもしれません。

ただ、事例の通り何もしなくてもチャンスは生まれるのではなく、コツコツとやってきたご褒美だと思います。

এই মন্দা নিয়ে চিন্তাধারা পরিবর্তন করে একে একটি সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে যেটা বহু বছর পরে মাত্র আসে। এই কথা ব্যবসাগুলোকে বলা যেতে পারে, এমন কি যেগুলো মন্দায় ডুবে রয়েছে তাদেরও।

তবে এই অবস্থা এমনি এমনি আসে নি। এটি অনেক সময় ধরে অনেক কষ্ট করার ফসল।

ফিলিপাইন্স এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে যেটা ব্লগার ক্যাসওয়েল হোয়াইটসাইড মনে করেন যে ফিলিপিনোদের অধিক হারে দেশে ফিরে আসার কারণে যারা বহির্বিশ্বে আগে কাজ করত।

দেখা যাচ্ছে যে ফিলিপাইন্স এয়ারলাইন্স কানাডা এবং আমেরিকা থেকে প্রতিদিন তাদের ফ্লাইট দিচ্ছে যেটা আগে ছিলো চারদিন প্রতি সপ্তাহে। যদিও ফিলিপাইন্স এয়ারলাইন্স (PAL) ঘোষণা করেছে যে এই বৃদ্ধি ‘নতুন এবং ভালো সেবা’ প্রদান করার জন্য, কিন্তু এটি আসলে ফিলিপিনোদের জন্য একটি সুবিধা। তাদের অনেকে বিশ্বের বহু দেশে তাদের কর্মসংস্থান থেকে ছাটাই হয়েছে। প্রধানত জাপান এবং আমেরিকা থেকেই তারা নিজেদের দেশে ফিরে আসছে।

থাইল্যান্ডের উদ্দীপক প্ল্যান অনুযায়ী ৫৫ ইউ.এস. ডলার সমমূল্যের বিশেষ চেক দেয়া হবে কম-উপার্জনকারী প্রত্যেকের জন্যে। এর সুবিধা হচ্ছে যে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে ম্যাকডোনাল্ডস, কেএফসি, পিজা হাট এবং আরো ১৮টি কোম্পানী থেকে পণ্য কিনতে গেলে। যারা কেএফসি থেকে তাদের উদ্দীপক চেক ভাঙ্গিয়ে খাবার কিনবেন তাদের জন্যে একটি সুবিধা রাখা হয়েছে – বিনামূল্যে২০ টুকরা মুরগী দেয়া হবে তাদেরকে।

এভেরী উওম্যান'স ব্লগ একজন কনডম তৈরীকারকের সাথে একমত পোষণ করেছে যে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক মানুষ কনডম কিনছে যাতে মেয়েরা গর্ভবতী না হয়:

আমার বিশ্বাস যে এখানে অনেক সত্য আছে এবং যুক্তি এই বিষয়ে। এই মন্দা এবং অজানার সময়ে, মানুষ আরেকজন পরিবারের সদস্য যোগ করতে চায় না যেটার কারণে আরো অর্থনৈতিক সমস্যার কবলে পরতে হতে পারে।

ডগলাস মুইর আশা করেন যে এই বিশ্বে জন্মতালিকায় একটি বড় প্রকারের ধ্বস নামবে, প্রধানত যেটা আসবে পূর্ব ইউরোপ থেকে।

শুরুতে প্রত্যাবর্তন

এই অর্থনৈতিক মন্দার জন্য, অনেকে শিখছে কি করে মৌলিক নিয়মগুলো ব্যবহার করতে হয় ব্যবসা করার সময়, যেমন প্রথম শ্রেণীর সেবা প্রতি ক্রেতার জন্য। ব্রাজিলের এক ভুট্টা বিক্রেতা পুরস্কৃত হয়েছে তার নতুন চিন্তাধারার ব্যবসার জন্য। সে অনেক বক্তৃতা দিয়েছে কিভাবে সফল ব্যবসা চালাতে হয়।

জাপানী যুবা এবং খ্যাতিপূর্ণ লোকদের কাছে কৃষিকাজ অনেক জনপ্রিয় হয়েছে যখন অনেকে খুঁজছে নতুন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যেগুলো শক্ত করে গড়বে আর্থিক কেন্দ্রগুলোকে। কামিয়ামা ইয়াসুহারু লিখেছেন যে কৃষির বিস্তার একটি মজাদার শব্দ হয়ে উঠেছে আজকের জাপানী সমাজে।

ক্যাম্বোডিয়া আবার শুরু করেছে কৃষিতে তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। এক লাও অর্থনীতিবিদ বিশ্বাস করেন যে “কৃষি-নির্ভর, স্ব-নির্ভর প্রকৃতি” একটি দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে পারে যেমন লাওসকে করছে এই বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার থেকে।

এই অর্থনীতিবিদ আরো বলেন:

মানুষ যারা আগে শিল্পোন্নত দেশে বাস করত এখন ভয় পায় তাদের কর্ম যাতে না নষ্ট হয় কারণ তারা জানে না কি করে শাক-সব্জি ফলাতে হয় এবং গবাদি পশু কি করে পালন করতে হয় যেটা লাওসের লোকজন জানে।

জ্যামাইকাতে, ২১টি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নেতারা একটি চুক্তি তৈরী করেছেন যার মাধ্যমে মিলিত ভাবে এই বিশ্ব মন্দার কবলের থেকে নিজেদের ছাড়িয়ে নিতে পারবেন। তারা আরো শিখেছেন যে একটি “সামাজিক অংশীদারের বক্তব্য” তৈরি করা উচিৎ যেটা সরকার, বিরোধীদল, শ্রমিক, ব্যবসা এবং সমাজের সকলের জন্য প্রযোজ্য।

উপরের ছবিটি সাবার্বানস্লাইস এর ফ্লিকার একাউন্ট থেকে আনা হয়েছে। পর্তুগীজ লেখাটি অনুবাদ করেছে জিভির সম্পাদক পলা গোজ। জাপানীজ লেখাটা অনুবাদ করেছে জিভির অনুবাদক স্কিলা আলেচ্চি

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .