ইকুয়েডর: এইচ১এন১ ভাইরাসের মুখোমুখি জীবন

ল্যাটিন আমেরিকা ব্যাপী এইচ১এন১ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ পার হয়ে গেছে, যা এই অঞ্চলকে বিশ্বের মধ্যে এই ভাইরাসে সব থেকে বেশী আক্রান্ত এলাকায় পরিণত করেছে। এই ভাইরাসের দ্রুত ছড়ানোর হুমকির সম্মুখীন হয়েছে দক্ষিণ গোলার্ধ বিশেষ করে এ বছর শীত কাল অস্বাভাবিক ঠাণ্ডা থাকার কারণে। আর অনেক দেশে এএইচ১এন১ ভাইরাসের কেসের সংখ্যা সাধারণ ফ্লু রোগকে ছাড়িয়ে গেছে। মার্কোসুর জোটভুক্ত দেশগুলোও সম্প্রতি এই বিষয়ে আলোচনা করেছে তাদের সাম্প্রতিক সম্মিলনের সময়ে

ইকুয়েডর ওই দেশগুলোর মধ্যে পরে যাকে এই ভাইরাসের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। দেশটির গণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্ব শেষ রেকর্ড অনুসারে ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত, ২৩ জন মারা গেছে আর প্রায় ৮০০ ব্যক্তি এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে।

দেশের স্বাস্থ্য খাতে এর প্রভাব এখনও ‘সীমিত’ আকারে আছে আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে, ”স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা সাধারণ মানের উপরে, কিন্তু স্বাস্থ্য সেবার যোগান চূড়ান্ত ক্ষমতার নীচে।“ বিভিন্ন প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে যেমন ফ্লু – বিরোধী ঔষধের বিজ্ঞাপনের ‘সাময়িক নিষিদ্ধ করণ’ করা হয়েছে। কারণ বেশীরভাগ মৃত্যু হয়েছিল কোন প্রেসক্রিপ্শন ছাড়া এই ধরনের ঔষধ খাওয়ার ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কারনে।

সরকারের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনগণের ধারণা আর ঐতিহ্যবাহী মিডিয়া দ্বারা তথ্য বিতরণ গ্রহণযোগ্য হয়েছে, যেমন ব্লগ এ্যানিল্যান্ডের মতে:

Ya haciendo un análisis de lo que he visto en otro diarios electrónicos nacionales, uno de los que más información e importancia le da al caso de la Influenza es El Universo, así como el Hoy en su página principal existe una opción que la llaman Gripe Porcina. Al contrario del diario El Telégrafo.

En mi opinión los medio en Internet están dando buena información, acerca de la situación de la Influenza AH1N1 en el país, incluso existen muy buenas notas donde se dan recomendaciones, se informa el origen de la enfermedad y la realidad o los sucesos que pasaron otros países con respecto a este tema que ha acogido la atención a nivel mundial.

অন্যান্য অনলাইন সংবাদপত্র আমি যা দেখি তা বিশ্লেষণ করলে, একটা সংবাদপত্র যা সব থেকে বেশী তথ্য দেয় আর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় সেটা হল এল ইউনিভার্সো, আর সংবাদপত্র হোয় তে তারা প্রধান পাতায় “সোয়াইন ফ্লু” নিয়ে একটা আলাদা ফিচার দেয়। এটা সংবাদপত্র এল টেলিগ্রাফো যা করে তার বিপরীত।

আমার মতে, ইকুয়েডরে এএইচ১এন১ পরিস্থিতি নিয়ে অনেক ভালো তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাপী এই রোগের উৎপত্তি আর বাস্তবতা বা ঘটনা যা অন্যান্য দেশে হচ্ছে সে সংক্রান্ত ভালো প্রতিবেদনও পাওয়া যায় যা সমাধান দেয়।

এমনকি ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট র‌্যাফায়েল কোরিয়া চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন যখন তার নিরাপত্তা বাহিনীর একজন এএইচ১এন১ ভাইরাসে আক্রান্ত হন, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপ মন্ত্রী মারসেলো আগুইলার। তবে একজন মন্ত্রী পরিষদ সদস্যের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে।

ব্লগার আর লেখক রাউল ফারিয়াস, যিনি আল লাদো দেল কামিনো ব্লগে লেখেন, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইকুয়েডরে ফেরার পরে কিছু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা বলেন:

En Guayaquil, el calor me hizo sentir a salvo hasta hace dos viernes, cuando después de un concierto me encontré con el Ministro Ricardo Patiño y hablé un par de palabras con él sobre unos proyectos (a veces te toca bailar con el diablo). El mismo día mi hermana llegó con los ojos reventados, la garganta inflamada y con malestar de cuerpo. Dos días después me enteré que Patiño era portador de la gripe AH1N1 al igual que el presidente de Costa Rica. La cagada, esta gripe no tiene preferencias, me dije enseguida… Ya han pasado quince días desde el último encuentro con la plaga y no hay síntomas. Si esta es una pandemia al estilo I am legend, donde perecerá una parte importante de la raza humana, después de algunos roces con la enfermedad, creo estar entre los elegidos para salvarse. Eso pienso mientras un moco se me sale de la nariz.

দুই শুক্রবারের আগে পর্যন্ত গায়াকুইলে গরম আমাকে নিরাপদ বোধ করিয়েছিল। একটা কনসার্টের পরে, আমি সরকারের মন্ত্রী রিকার্দো পাতিনোর সাথে সাক্ষাৎ করি আর আমরা কিছু প্রকল্প নিয়ে কথা বলি ( মাঝে মাঝে শয়তানের সাথেও নাচ করতে হয়)। একই দিন আমার বোন তার ফোলা চোখ, গলা ব্যথা আর সারা শরীরে ব্যথা নিয়ে উপস্থিত হয়। দুই দিন পরে আমি জানতে পারি পাতিনো এএইন১এন১ ভাইরাসের বাহক, কোস্টা রিকার প্রেসিডেন্টের মতো। এটার খারাপ দিক হল এই ফ্লুর কোন পছন্দ নেই, আমি পরে নিজেকে বলেছি… ভাইরাসের সাথে সাক্ষাৎের পরে ১৫ দিন পার হয়েছে আর এখনো কোন লক্ষণ নেই। এটা যদি একটা মহামারী হয়, ‘আই এম আ লেজেন্ড’ চলচ্চিত্রের মতো, যেখানে মানব জাতির বড় একটা অংশ এই অসুখের সংস্পর্শে এসে ধ্বংস হয়ে যায়, আমার মনে হয় নিরাপদে থাকা বাছাই করা কয়েক জনের মধ্যে আমি আছি। আমি এটা ভাবছি, আর আমার নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু করেছে।

থাম্বনেইল চিত্র গুয়েরী মনেরোর সৌজন্যে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .