ফ্রান্সে বোরখা পড়া এবং সুদানে প্যান্ট পড়া বিতর্কের সৃষ্টি করেছে

ফরাসী রাষ্ট্রপতি নিকোলাস সারকোজি আবারও কি বিতর্ক জাগিয়ে তুলেছেন? যেমনটি তিনি করে থাকেন যখনই তার দেশে কোন বিরূপ অর্থনৈতিক বা সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়, অথবা গ্রীষ্মকালীন অলস ছুটির সময়ে দৃষ্টি ফেরানোর জন্যে।

হিজাব সম্পর্কে তার বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানের কয়েক সপ্তাহ পরেই ফরাসী সংসদ সদস্য ও সিনেটরদের এক জমায়েতে ভাষণ প্রদানের সময় তিনি বলেছেন যে “বোরখা ফরাসী রিপাবলিকে কাঙ্ক্ষিত নয়“। এ সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে পরে একটি “তথ্য সংগ্রহ প্যানেল” গঠিত হয় বিরোধী দলীয় বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের দ্বারা, যারা আগামী ৬ মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেবে। তবে ইতিমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ খবর এনেছে যে সারা ফ্রান্সে মাত্র ৩৬৭ জন নারী বোরখা পড়ে এবং ‌এই তথ্য সম্পর্কে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং অন্যেরা ভ্রুকুটি করছে

জনগণ আবার প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠেছে, যেমন তারা ২০০৪ সালে স্কুল থেকে হিজাব (মাথার কাপড়) নিষিদ্ধ করার সময়ে হয়েছিল। ফরাসী প্রচার মাধ্যম এবং ব্লগগুলো আবার সরব হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যখন কেউ কেউ ফরাসী সরকারের বোরখা নিষিদ্ধ করার ব্যাপারটির সাথে সুদানের মেয়েদের প্যান্ট পড়া নিষিদ্ধ করার এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সাথে তুলনা করছে। সুদানে হিজাবের সাথে প্যান্ট পড়ার জন্যে বেশ কিছু মহিলার বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যাদের মধ্যে জাতিসংঘে কাজ করে এমন এক মহিলাও আছেন।

ভারতীয় ব্লগার সাভাদাতি তার “আমরা ইসলাম ভালবাসি তাই বোরখা পড়ি” শিরোনামের লেখায় ব্যাখ্যা করছেন যে মুসলমান মেয়েদের জন্যে এর মানে কি:

বোরখা (এবং হিজাব, নেকাব বা চাদর) মনে হচ্ছে এ শতাব্দীর সবচেয়ে বিতর্কিত পোষাক। তালেবানদের মত শক্তি লোভী চরমপন্থী দল গুলো এগুলো ব্যবহার করে মেয়েদের দমিয়ে রাখার চেষ্টায় রত। বোরখা না পড়ার জন্যে মেয়েদের অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে – শারীরিক এবং যৌন নিপীড়ন চলেছে তাদের উপর। আফগানিস্তানে এটি নিপীড়নের এক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। “পুরুষ ভোলানো” তকমা না লাভের জন্যে তাদের তাবুর মত এক পোষাক পরে থাকতে হয় প্রচণ্ড গরমে যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। নারীবাদী এবং বিভিন্ন দেশের সামাজিক কর্মীরা এর বিরুদ্ধাচরণ করে আসছে অনেকদিন ধরে। ফ্রান্সে নি পুটে, নি সুমিজে (বেশ্যাও নয় অনুগতাও নয়) নামক দলটি বোরখার বিরুদ্ধাচরণে খুবই উচ্চ কণ্ঠ। যারা এটি পরে তাদের জন্যে একে তারা খোলা আকাশের নিচে এক কারাগার বলে অভিহিত করে। এবং মেয়েদের অনুগত করার এক হাতিয়ার হিসেবে একে গণ্য করে।

অন্যদিকে, ইউরোপ, ভারত এবং পশ্চিম এশিয়ার অনেক নারীই এই আলখাল্লার মত পোশাকের সাথে তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে এক করে দেখে। তারা এটি পরে কারণ এটি তাদের স্বস্তি দেয় এবং তাদের ধর্মীয় অনুশাসন পালনে সহায়তা করে। তারা মনে করে যে তারা এটি পরার জন্যে বাধ্য নয় এবং নিজেদের ইচ্ছায়ই পরে।

তিনি শেষ করছেন এই বলে:

নারীরা যারা বোরখা পড়ে, তারা সংস্কৃতির সাথে একাত্মতা বোধ করতেই পরে, তার কাছ থেকে আলাদা হবার জন্যে নয়। তবে এ নিয়ে বিবিধ কলঙ্ক রটানো বা অতি সরলীকরণ যদি চলতেই থাকে তবে তারা সমাজে একঘরে হয়ে পরবে। তাদেরকে দেখা হবে কাল আলখাল্লা ধারী এক অদ্ভুত সম্প্রদায় হিসেবে, যাদের করুণা করা হবে এবং যাদের সাথে সাবধানতার সাথে চলতে হবে। বোরখা নিষিদ্ধ করণ শুধু এটুকু করেই থামবে না, বরং বোরখা পরা মহিলাদের পুনরায় ঘরের ভেতরে টেনে আনবে, তারা বর্তমানে যেটুকু স্বাধীনতা ভোগ করে তাও কেড়ে নেবে।

বোরখা নিয়ে সেরকম একটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উক্টি আসমা লিখছেন:

Le voile intégral est un réflexe identitaire, très minoritaire des musulmans de France.
Les parlementaires n'ont donc pas à se mêler de cette affaire, car celui-ci est et restera très marginale en France.
C'est aux musulmans d'expliquer à cette petite frange de la communauté, les aspects que nous avons cités ( des origines non-islamiques, les inconvéniants liés, la compatibilté de l'acsèse avec le monde actuel)
Je rajouterai qu'il ne faut pas prendre les membres de la communauté musulmane pour des abrutis. Et je m'adresse tant au non-musulmans qu'aux musulmans.
Les musulmans en France sont instruits, et savent majoritairement faire la part des choses. (…)

ফ্রান্সের স্বল্প সংখ্যক মুসলমানদের মধ্যে পা থেকে মাথা পর্যন্ত বোরখা পরা একটি পরিচয় সংকট। সে জন্যেই সংসদ সদস্যদের এ নিয়ে ব্যস্ত হবার দরকার নেই। কারণ তারা এখনও সংখ্যালঘু। মুসলমানদের উচিৎ এই ছোট (বোরখা পরা) দলকে আমরা যে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করছি (ইসলাম প্রতিষ্ঠার পূর্বের ইতিহাস, এ সংক্রান্ত পশ্চাদপদতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং আধুনিক সমাজের মধ্যে উপযুক্ততা)।

আমি যোগ করব যে মুসলমান সমাজকে বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। আমি মুসলমান এবং মুসলমান যারা নয় উভয়কে লক্ষ্য করেই বলছি।

ফরাসী দেশের মুসলমানরা শিক্ষিত, এবং জানে কি করে সমাজে মানিয়ে নিতে হয়।

তবে গতানুগতিক প্রচার মাধ্যম, যেমন লো মন্ড, বিভিন্ন উপসম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে এ নিয়ে। ফরাসী লেখিকা পিয়েরেটে ফ্লটিয়'র শ্লেষ পূর্ণ বা গুরুগম্ভীর লেখাটি ছিল “পুরুষের মর্যাদা রক্ষায় তাদের বোরখা পরা উচিৎ” শিরোনামে। এটি বিভিন্ন ব্লগে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি কৌতুকের সাথে বোরখা পড়ার সব যুক্তি পুরুষের উপরে খাটিয়েছেন:

Repoussons cette croyance absurde qu'il faudrait voiler les femmes pour que les hommes ne soient pas portés à désirer celles d'autrui. Une telle croyance est mécréante : elle accrédite l'idée que l'homme a été créé libidineux, violeur par nature et faible devant ses désirs. Et que, devant toute femme passant sous ses yeux, s'éveille aussitôt en lui la pulsion de lui sauter sur le râble pour consommer l'oeuvre de chair. L'homme a en lui la force de l'âme et le respect naturel de l'ordre divin. L'homme n'a rien à craindre des misérables appâts de la femme.

প্রথমেই আমরা এই অযৌক্তিক ধারণাকে ঝেড়ে ফেলি যে শুধু মেয়েদের বোরখা পরতে হবে, কারণ তাহলে পুরুষরা অন্যের স্ত্রীর দিকে দৃষ্টি প্রদান করে তাকে পেতে চাইবে না। এই বিশ্বাসটিই এমন একটি অসভ্য ব্যাপার; এটি বোঝায় যে পুরুষরা জন্মিয়েছে পরনারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি দেয়ার জন্যে, প্রাকৃতিক ভাবে ধর্ষক, এবং নিজেদের লালসার কাছে দুর্বল। এবং তার দৃষ্টির সামনে যে মেয়েই হেঁটে যাবে তার প্রতি পাশবিক ইচ্ছা জাগ্রত হয়ে উঠে তাকে পেতে চাইবে সে। কিন্তু তা কি সত্যি? পুরুষের আত্মার শক্তি রয়েছে প্রাকৃতিক ও স্বর্গীয় সৃষ্টি নারীকে সম্মান করার। পুরুষের তো নারীর কামনা পূর্ণ লোলুপ দৃষ্টিতে ভয় পাবার কোন কারণ নেই।

Que la femme aille dans la rue dans les atours aguicheurs qu'elle ne manquera pas de se choisir. Son regard s'épuisera sur les autres femmes, elle y verra comme dans un miroir sa propre indécence, sa futilité même la détournera de toute compétition malsaine avec l'homme. Quant à cette exposition de la féminité, elle ne saurait nuire à l'homme. Il s'y verra conforté dans son incontestable supériorité. Il saura, dans les autres burqas, reconnaître les hommes pieux et respectueux de la loi, et ainsi renforcera nécessairement la belle et indispensable communauté masculine.

নারীদের রাস্তায় হাঁটতে দিন তার সবচেয়ে উত্তেজক পোষাক পরে, যা সে পরতে চায়। তার চাহনি এই সব বোরখা পরা পুরুষের চোখের মধ্যে দেখা অপর নারীকে দুর্বল করে ফেলবে যেমন আয়নায় নিজেকে দেখা। তার নিজস্ব অশ্লীলতা এবং ছেবলামো পুরুষের সাথে কোন অসমান প্রতিযোগীতায় রত হওয়া থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেবে। এবং নারীত্বের এই প্রদর্শন কোনভাবেই পুরুষের ক্ষতি করতে পারবে না। এর মধ্যে পুরুষরা তাদের অবিসংবিদিত শ্রেষ্ঠত্ব দেখবে। সে অন্য বোরখা পরা ব্যক্তিদের মধ্যে পরহেজগার পুরুষদের দেখবে। এবং এটি সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ সমাজকে শক্তিশালী করবে।

ইহেস এর গবেষণাবিদ ফারহাদ খোশরোখাবার আশন্কা প্রকাশ করেচেন যে বোরখা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ফ্রান্সে ইসলামী চরমপন্থী দলগুলোকে শক্তিশালী করবে। তার লেখাটি এখানে পাওয়া যাবে (ফরাসী ভাষায়)।

তবে যুক্তি-তর্ক যাই হোক না কেন, এই বিতর্কের পালে আবার হাওয়া লেগেছে যখন সংবাদ এসেছে যে সুদানের জাতিসংঘ মিশন (ইউএনমিস) এ কর্মরত একজন তরুণী সাংবাদিক লুবনা আহমেদ আল হোসেইনকে গ্রেফতার করা হয়েছে খার্তুমের এক পার্টি চলাকালীন সময়ে হিজাবের সাথে প্যান্ট পরার জন্যে। ওই পার্টিতে থাকা আরও বেশ কয়েকজনকেও লুবনার সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের অনেকে দক্ষিণ সুদানের অমুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকে এসেছে। পুলিশ কর্তৃক বেত্রাঘাতের পরে তাদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে; তিনজনকে কোর্টে নেয়া হয়েছে যাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে ৪০টি করে বেত্রাঘাত আর জরিমানা। লুবনা আহমেদকে জাতিসংঘের কর্মী হিসেবে কুটনৈতিক নিরাপত্তা নেন নি এবং বলেছেন যে তিনি এই বিচারের শেষ দেখে ছাড়বেন। আরব মানবাধিকার কর্মীরা এবং বেশ কিছু সাংবাদিক মনে করছেন যে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সুদান সরকার একটি স্বাধীন কণ্ঠকে রোধ করতে চায় যে বেসরকারী সংবাদপত্রে (সরকারের বিরুদ্ধে) কলাম লিখতেন।

তবে কিছু ফরাসী ব্লগার বোরখা নিষিদ্ধকরণ বিষয়ের সাথে এর তুলনা করতে ভুলেন নি। রিমবুস ব্লগ বলছে যে সহনশীলতা একই রকম দেখানো উচিৎ:

Mais sur le fond, il s'agit de la même chose. Le pays occidental veut condamner l'expression d'une pensée qu'il combat, la dictature musulmane condamne l'expression du mode de vie occidental.

La seule position honorable pour la France serait de tolérer officiellement ces 400 femmes voilées intégralement, au nom de la liberté de pensée, et fort de ce principe, condamner vigoureusement l'attitude de Khartoum, par voie diplomatique et officielle. Dans le cas contraire, nous ne pourrions qu'accepter une réaction du pouvoir soudanais, comparable à la notre.

Il faut soutenir la journaliste soudanaise Loubna Ahmed al-Hussein, et laisser les femmes s'habiller librement, en mini-jupe comme en niqab, en garçon si elles le souhaitent.

মূলত: এটি একই বিষয়। পশ্চিমা দেশগুলো যে চিন্তা চেতনার সাথে লড়াই করছে তাকে নিষিদ্ধ করে নিন্দা করতে চায়। যেখানে মুসলমান স্বৈরতন্ত্র একে ব্যবহার করে পশ্চিমা জীবনাযাত্রাকে নিন্দা করতে চায়।

ফ্রান্সের জন্যে সেটিই সর্বোত্তম যে ৪০০র মত বোরখা পরা নারীর স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুক্তচিন্তার খাতিরে এবং এই নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কূটনৈতিক এবং সরকারীভাবে খার্তুমের এই সিদ্ধান্তের জোড়ালো প্রতিবাদ জানানো।

এ ছাড়া আমাদের তো সুদানের সরকারের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে হবে যেমনটি আমরা বোরখা পরা মহিলাদের ব্যাপারে করছি।

সুদানের সাংবাদিক লুবনা আহমেদ আল হোসেইনকে সমর্থন করা আমাদের দরকার এবং নারীদের যেমন খুশি তেমন পোষাক পরতে উৎসাহী করা দরকার, নেকাব বা মিনি স্কার্ট, অথবা ছেলেদের পোষাকে, তারা যেমন চায়।

এলাইন জুলস ব্লগিং প্লাটফর্ম আগোরাভক্সে লিখেন। তিনি কঠোর ভাষায় লিখেছেন যে এই ঘটনাটি কেন বেশী আলোচিত হয় নি।

La journaliste indique qu’elle en a assez du silence des femmes de son pays qui se laissent flageller pour rien. Ainsi, elle a déclaré : « Des milliers de femmes sont châtiées à coups de fouet mais elles restent silencieuses. La loi est utilisée pour harceler les femmes et je veux dénoncer cela ». Courageuse, elle est donc prête à subir ce châtiment. (…) Il est d’ailleurs étonnant de ne pas voir les défenseurs des droits de l’homme se lancer à corps perdu dans ce combat pour les droits des femmes. Mais où sont-ils passés ? Sont-ils plus préoccupés par leurs petits intérêts et trouvent ridicule le combat de cette femme courage ?

এই সাংবাদিক বলছেন যে তার দেশবাসী তার প্রতি এই অবিচার দেখে চুপ আছে দেখে তিনি বিরক্ত ও হতাশ। তার ভাষায়: “বেত্রাঘাতের শাস্তির মাধ্যমে হাজারো নারীর অসম্মান করা হচ্ছে, আর তারা তা দেখে চুপ আছে। এই আইনের মাধ্যমে নারীর অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং আমি এটি প্রমাণ করব।” তাই সাহসী হয়ে তিনি শাস্তি বুকে পেতে নিতেও রাজী। তবে, আশ্চর্যের বিষয় যে মানবাধিকার রক্ষাকারী বিবিধ গোষ্ঠী, যাদের সাধারণত: নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন বচসায় লিপ্ত দেখা যায়, কোথায় আজ তারা? তারা কি তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থের ব্যাপারে বেশি ব্যস্ত? তাই তারা এই সাহসী মহিলার লড়াইয়ের প্রতি উদাসীন?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .