বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়া: বান্ধবী, অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে তৈরী এক চলচ্চিত্র

Poster of the film Bandhobi, courtesy of http://blog.naver.com/bandhobi/10050631292

Poster of the film Bandhobi, courtesy of http://blog.naver.com/bandhobi/10050631292

বাংলাদেশি ব্লগার ফাহমিদুল হক আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এক কোরিয়ান চলচ্চিত্রের সাথে, যাতে দেখানো হয়েছে এক বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার এক কিশোরীর ভালোবাসা এবং তার সাথে তুলে আনা হয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়। তিনি লিখেছেন:

মালয়েশিয়ায়-অভিবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে তাইওয়ানের বিখ্যাত পরিচালক সাই মিং লিয়াং নির্মাণ করেছিলেন আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু স্লিপ এলোন’ (২০০৭) (এই লিংক ক্লিক করুন)। এবার কোরিয়ান পরিচালক শিন দং ইল নির্মাণ করলেন “বান্ধবী”। এই ছবির প্রধান এক চরিত্রে অভিনয় করেছে এক বাংলাদেশী শ্রমিক।

কোরিয়া টাইমস পত্রিকার বিখ্যাত চলিচ্চত্র সমালোচক লি হিও-ওন এই ছবি সমন্ধে এক চমৎকার পর্যালোচনা লিখেছেন:

বান্ধবী ছবিতে পরিচালক শিন ডং-ইল অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা, বর্ণবাদ, সামাজিক চাটুকারিতা নামক অস্বস্তিকর বিষয়গুলোকে সার্থকভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন এক সহজ হাস্যরস, কৈশোরের উদ্বেগ এবং অমুল্য এক বন্ধুত্বের মাধ্যমে। এক গল্প যা ক্রমাগত ভাবে বেদনা তৈরী করে, ভিন্ন দুই সংস্কৃতির এক মিলন কেন্দ্র হিসেবে। এ ছবির নাম বান্ধবী, বাংলাভাষায় এর মানে মেয়ে বন্ধু।

কোরিয়ান হেরাল্ডের ইয়াং সুং-জিন ও এই ছবির কাহিনী সমন্ধে একটি ভাল পর্যারোচনা লেখেন। এই ছবিটি গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় মুক্তি পেয়েছে।

পারভেজুল ইসলাম রনি তার ব্লগে এই ছবির প্রচারণার জন্য তৈরী করা ভিডিও (ট্রেইলার) পোস্ট করেছেন:

যারা এই ছবিটি দেখেছে এমন কয়েকজন ব্লগারের প্রতিক্রিয়া:

পিনেই ইন কোরিয়া বান্ধবী ছবিটির নামকরণ করেছেন- ‘একটি কোরিয়ান ছবি যা হৃদয়স্পর্শী’ এবং তার সাথে যোগ করেছেন:

কোরিয়ার এই নতুন শৈল্পিক ছবি বান্ধবী (বাংলায় যার মানে মেয়ে বন্ধু) সেই সব বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে যা কোরিয়ার ৩ডি বিদেশী শ্রমিকরা মুখোমুখী হয়। এই ৩ডি মানে হচ্ছে ডার্টি বা নোংরা, ডেঞ্জারাস বা বিপদজনক, এবং ডিমিনিং বা হীন চোখে দেখা। এই ছবি বিদেশী শ্রমিকদের সমাজকল্যাণ, বর্ণবাদ এর মতো বিষয় এবং অন্যদের মধ্যে যে কিশোর বিদ্রোহী রয়েছে তার মুখোমুখি হয়েছে।

মাই সুইট লাভ এর ননি এই ছবি দেখার পর মন্তব্য করেছেন:

আমি মনে করি সংস্কৃতির পার্থক্যকে আবিস্কার করা বেশ কৌতুহলজনক… এই সমস্যা কেবল যে কোরিয়াতেই ঘটে তা নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ঘটে থাকে…

দি গ্রান্ড ন্যারেটিভ একে বর্ণনা করেছেন “কোরিয়ার এই বছরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছবি যা আপনারা দেখবেন”।

ফাহমিদুল লক্ষ্য করেছেন:

যে বিষয়টা আমাকে আকৃষ্ট করছে তা হল, ছবিটার নাম বাংলায় এবং ছবির পোস্টারেও বাংলা শব্দটা যুক্ত হয়েছে। বিশ্ব-চলচ্চিত্রে এখন কোরিয়ান ছবির খুব দাপট। সেখানকার একটি ছবির পোস্টারে বাংলায় লেখা শব্দ দেখে চমকে গেছি।

ফাহমিদুলের পোস্টের মন্তব্য বিভাগে এই বিষয়টিও বহুল আলোচিত ছিল যে কি ভাবে বাংলাদেশে এই ছবিটি দেখা যাবে।

1 টি মন্তব্য

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .