আজ আমরা চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুর জনগোষ্ঠীর দিকে দৃষ্টি দেবো যাদের সংস্কৃতি মধ্য চীনা সরকারের দ্বারা হুমকির মুখে। প্রথমত: তাদের উগ্রপন্থী ভাবা হত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ই সেপ্টেম্বরের আক্রমণের পরে এখন গণ্য করা হয় সন্ত্রাসী হিসেবেও।
যদিও তাদের ধর্মীয় সীমাবদ্ধতার দরুন তিব্বতীয়দের মত তাদেরও অনেক নিপীড়নের স্বীকার হতে হয়েছে যেমন কঠোর বিধিনিষেধ, জোর করে গর্ভপাত, কারাগারে পোরা এবং মেরে ফেলা। তবে উইঘুরদের (বিবিধভাবে একে বানান করা হয়) এই অবস্থা তিব্ব্তীদের মত পশ্চিমাদের কাছে দৃশ্যমান নয়। পূর্বে গ্লোবাল ভয়েসেস এর নিবন্ধে আমরা তাদের পরিস্থিতি অনুসরণ করেছি যেমন তাদের অনলাইন আলোচনাচক্র ২০০৮ সালে চীনা সরকার বন্ধ করেছিল। এবং চীনা সরকার বিভাবে অন্যান্য দেশকে চাপ দিয়েছিল এদের দূষ্কৃতী হিসেবে গণ্য করে তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকার করার জন্যে। এমনটিই হয়েছিল গুয়ান্তানামো বের ১৭ উইঘুর বন্দীদের সঙ্গে, যাদের মুক্তি দেওয়া সত্বেও চীন তাদেরকে গ্রহণ না করতে অন্যান্য দেশগুলোকে চাপ দিয়েছিল।
জিনজিয়াংয়ের উইঘুর স্বায়ত্বশাষিত অঞ্চলকে বিকর্কিতভাবে উইঘুরস্তান বা পূর্ব তুর্কিস্তান বলা হয়, এবং এই পরবর্তী ভিডিওটি পূর্ব তুর্কিস্তান বাঁচাও প্রকল্পের যারা আমাদের জানাচ্ছে যে ধর্মের বিশ্বাসের জন্যে তাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের কারনে যেমন জোড়পূর্বক গর্ভপাত এবং তাদের নিয়ে পরমাণবিক পরীক্ষা করার মাধ্যমে উইঘুরবাসীর সংস্কৃতি মরে যাবে:
নীচে স্ট্যানলি ফাউন্ডেশনের তৈরী উইঘুরদের নিয়ে ডকুমেন্টারী ভিডিওটি দেখাচ্ছে উইঘুরদের সংখ্যা কিভাবে কমে আসছে। তাদের শিশুকে কিভাবে বড় করবে তা নিয়ে বাধ্যবাধকতা থাকায় তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্থানান্তরে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই একে তারা একটি সাংস্কৃতিক গণহত্যা বলছে: