কঙ্গো ডে. রিপাবলিক: পাচারের সময়ে বাচ্চা গরিলা উদ্ধার

২৬শে এপ্রিল ২০০৯ রবিবারে, ভিরুঙ্গা জাতীয় পার্কের পরিচালক – ভূতপূর্ব ওয়াইল্ডলাইফডাইরেক্ট এর সিইও- ইম্যানুয়েল দে মেরোদের নেতৃত্বে আইসিসিএন রেঞ্জাররা সন্দেহভাজন একজন গরিলা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। তারা পূর্ব নিম্নাঞ্চলের একটি বাচ্চা গরিলাকেও লুকানো অবস্থায় উদ্ধার করে।

সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয় যখন সে গোমা আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে নামছিল। রেঞ্জাররা সেখানে অপেক্ষা করছিল দেশের অভ্যন্তরে গরিলাদের বাসস্থানের কাছাকাছি ওয়ালিকালি এলাকা থেকে তার আগমনের জন্য। ইস্টার্ন লোল্যান্ড গরিলা (পূর্ব নিম্নাঞ্চলের গরিলা) কেবলমাত্র কঙ্গো ডে. রিপাবলিকে পাওয়া যায়।

বাচ্চা গরিলাটিকে অনেক কাপড়ের নীচে একটা ব্যাগে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সে দূর্বল, জলশূন্য অবস্থায় ছিল আর দীর্ঘ সময় বদ্ধ ব্যাগে কাটানোর পরে অতিরিক্ত গরম থেকে ভুগছিল ।

এই ভিডিও দেখাচ্ছে পাচারকারীকে ধরার ঠিক আগের আর পরের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে:

গরিলা রক্ষা ব্লগ বলেছে যে এটা প্রমান যে বাচ্চা গরিলাদের একটা বাজার আসলেই আছে। এটি আর একটা ঘটনার কথা বলেছে যেখানে “আমাদের (ওয়াইল্ডলাইফডাইরেক্ট) কাছে মধ্য প্রাচ্যের ধনীর একজন দালাল এসেছিলেন যিনি জানতে চাচ্ছিলেন কিভাবে একটা বাচ্চা গরিলা কেনা যায়।”

ইম্যানুয়াল দে মেরোদে নিশ্চিত করেছেন যে এই প্রাণীর বাজার আছে আর এটা বেশ লাভজনক। তাকে উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে গরিলা.সিডি ব্লগে:

সাম্প্রতিক মাসে আমাদের কাজ প্রকাশ করেছে বাচ্চা গরিলা পাচারের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকটি, সম্ভবত গত বছরের যুদ্ধের কারনে এটি বেড়েছে। তদন্তে এখনো জানা যায়নি এদেরকে কোথায় পাঠানো হয় আর কে এদেরকে কেনে, কিন্তু জানা যাচ্ছে যে একটা বাচ্চা গরিলা ২০০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়।

তিন মাসের ধরে এই পাচারচক্র নিয়ে তদন্তের ফলে এই গ্রেপ্তারের সাফল্য এসেছে। গরিলা রক্ষা ব্লগ এই সংবাদে আনন্দ প্রকাশ করেছে আর আশা করেছে যে “ন্যায় বিচার হবে আর বাচ্চা গরিলাটা তার বাসস্থানে ফিরে যাবে।”

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .