মেক্সিকো: শোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ

মেক্সিকোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেদেশে শোয়াইন ফ্লু (এক ধরনের ভাইরাল জ্বর) ছড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ পর্যন্ত মেক্সিকোতে মারা গেছে ৬৮জন আর এক হাজার জনেরও বেশী লোক আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগ নিয়ে বেশী আতন্ক কারন মৃতদের মধ্যে বেশীর ভাগ সমর্থ যুবারা, দুর্বল মানুষরা (শিশূ বা বৃদ্ধ) নয়। রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় জনগণ এই ভাইরাস ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে এবং অনেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে কি না তার উপর।

এই ভাইরাস ছড়িয়ে যাবার ফলে মিউজিয়াম এবং স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সপ্তাহান্তে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ফুটবল ম্যাচ বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

এস্টা মারানা দো কন্ট্রাদিসিওনেস ব্লগের ডেফেনা সালেরোসা এই মহামারি সম্পর্কে মেক্সিকানদের প্রতিক্রিয়া সংকলিত করেছেন:

Los que piensan que todo esto es una medida gubernamental para tapar algo “chupacabras style”-”cortina de humo”, y ese algo quien sabe qué podría ser: amenazas del narcotráfico, chanchullos bursátiles, etc. Los que creen ciertamente que estamos llegando a una pandemia. Los que consideran exageradas y extremas las medidas del sector salud y el gabinete presidencial. Los que están asustadísimos y no quieren salir de casa y de hacerlo, porta tapabocas o bufandas (sí, con este pinche calor ví a dos con ¡bufandas!). Los que ya sienten escosor y mucosidad en sus vías repiratorias. Los que se rompen la cabeza buscando el comentario/frase más sarcástico y jocoso del asunto.

অনেকে মনে করছে যে এটি সরকারের একটি চাল যেমন “চুপাকাব্রা” বা অন্য কিছু আড়াল করতে ধুম্রজাল ছড়ানো, কে জানে আসলে এটি কি: মাদকদ্রব্য পাচারজনিত হুমকি, স্টক মার্কেট কেলেন্কারী ইত্যাদি যে কোন কিছু হতে পারে। এ ছাড়াও অনেকে আছে যারা মনে করছে আসলেই মহামারি ছড়িয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে যে স্বাস্থ্য দপ্তরের বা রাষ্ট্রপতির ক্যাবিনেটের নেয়া পদক্ষেপগুলো বেদরকারী এবং তিল কে তাল করা। আর কেউ কেউ সত্যি ভয় পেয়েছে এবং বাড়ী থেকে বের হচ্ছে না। যখন তারা বের হচ্ছে তখন তারা মুখোশ বা স্কার্ফ পড়ে বের হচ্ছে (হ্যা এই গরমে আমি দুজনকে স্কার্ফ পড়ে বের হতে দেখেছি)। অনেকে ইতিমধ্যে শ্বাসনালীতে কফের অস্তিত্ব পাচ্ছে। আর কেউ কেউ চেষ্টা করছে এই বিষয় নিয়ে সবচেয়ে মজার এবং উদ্ভট মন্তবগুলো খুজে বের করতে।

মেক্সিকো সিটি থেকে ইন্টারসেকশন্স ব্লগের ড্যানিয়েল হার্নান্দেজ নিয়মিত খবর দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শুক্রবার রাতে মেক্সিকো সিটির রাস্তার বিবরণ দিচ্ছেন:

এখন রাস্তায় কি ঘটছে? লোকজন এখনও বের হচ্ছে এবং ঘুরে বেড়াচ্ছে, তবে অনেকেই ডাক্তারের মুখোশ পড়ে আছে। আজ রাতের অনেক পার্টি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এ ছাড়া জীবনযাপন স্বাভাবিক শুধু পরাবাস্তব একটি অনুভূতি আছে সবার।

ফ্লিকার ব্যবহারকারী ভিক্টোরিয়া, যিনি মেক্সিকো সিটির একজন শিক্ষক হার্নান্দেজের পোস্টে শুক্রবার সকালে তার স্কুলে আসার বর্ণনা দিয়েছেন:

আমি স্কুলে ঢুকেই দেখলাম যে কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই।

তখন তারা আমাকে জানালো যে ইনফ্লুয়েন্জা রোগের প্রকোপের জন্যে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার তখন মনে পড়ল মধ্যরাতে উনোনোটিসিয়াস এর কাছ থেকে এই সংক্রান্ত একটি এসএমএস পেয়েছিলাম।

তারপর আমি স্কুলে ছিলাম এবং আমার মেক্সিকান সহকর্মীরা বলতে লাগল যে এই প্রথমবার এমন হল। তারা আলাপ করতে লাগল যে পরিস্থিতি কত খারাপ হতে পারে যে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরপর আমি বাসায় গেলাম মেট্রোতে করে, মুখে নীল মাস্কটি পড়ে।

কিছূ ব্লগার তথ্য প্রচার করছে যে কিভাবে এই রোগটি ছড়ায়। যেমন আনা মারিয়া সালাজার লিখছেন যে যদিও এর নাম শুকরের সাথে সম্পর্কিত, শুকরের মাংসের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় না

সরকার ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেবার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু সাধারণ জনগণের জন্যে কোন টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে তারা প্রচার করছে বিশেষ করে যে জনগণ যেন বারবার হাত ধোয় এবং হাঁচি বা কাশির সময় যাতে নাক চাপা দিয়ে রাখে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .