ইরানী ব্লগার ওমিদ রেজা মীর সায়াফি জেলের ভেতরে মারা গিয়েছেন

গত ১৮ই মার্চ ২৯ বছর বয়সী ইরানী ব্লগার এবং সাংবাদিক ওমিদ রেজা মীর সায়াফি তেহরানের এভিন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। গত ডিসেম্বরে তাকে ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা এবং ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারে নিযুক্ত থাকার অভিযোগে আড়াই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল। জনাব সায়াফি ইসলামের অবমাননার জন্য আরেকটি একটি অতিরিক্ত বিচারের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন।

হিউমান রাইটস একটিভিস্ট ইন ইরান ওয়েবসাইটে অনুসারে, ওমিদ রেজা কারাগারে গভীর হতাশা রোগে ভুগেছিলেন এবং তাকে ওষুধ ব্যবহার করতে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল যেটি তিনি বেশী পরিমানে গ্রহণ করেছিলেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। একজন জেলবন্দী ডাক্তার এবং মানবাধিকার কর্মী ড: হাসেম ফিরুজী বলেন [ফার্সী ভাষায়] যে তিনি কারাগার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন ওমিদ রেজাকে বাইরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠাতে। কারাগারের ডাক্তার এই আবেদন অগ্রাহ্য করেছিলেন এবং এমনকি মৌলিক টেষ্ট গুলো করার আদেশ ও তিনি দেন নি।

ফেইসবুকে একটি সংগঠিত প্রচারকার্য চালু করা হয়েছে যার শিরোনাম ”কারাগারে ব্লগার মীর সায়াফির মৃত্যূর জন্য ইরান সরকারকে অভিযুক্ত করুন“।

ব্লগার মজতাবা সামীনেজাদ বলেন [ফার্সী ভাষায়] যে ওমিদ রেজা তার মৃত্যূর পূর্বে তাকে দুই দিন যোগাযোগ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তাকে কারাগারের বাইরে গিয়ে একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে সম্ভবত অনুমোদন করা হবে। এই ব্লগার ভাল খবর আশা করেছিলেন এবং এরকম হৃদয়বিদারী সংবাদের জন্যে প্রস্তুত ছিলেন না।

কারাগারে বন্দী হবার পূর্বে হিউমান রাইটস একটিভিস্ট ইন ইরানকে প্রদত্ত একটি সাক্ষাৎকারে [ফার্সী ভাষায়] ওমিদ রেজা বলেন যে তার ব্লগ একটি সাংস্কৃতিক ব্লগ ওবং কখনই অপমানজনক বা উস্কানীমূলক লেখা তাতে প্রকাশ হয়নি।

এখানে ওমিদ রেজার তেহরানে তোলা একটি ভিডিও মেখা যাবে। এটি ইরানী নৃতত্ববিদ এবং শিক্ষাবিদ পারভিজ ভার্যাভান্দ এর শেষকৃত্য।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .