মধ্য আমেরিকা: নারী, প্রযুক্তি আর শিক্ষা

take back the tech

টেক ব্যাক দ্যা টেক
(প্রযুক্তি ফিরিয়ে নাও) শীর্ষক একটা আন্দোলন চেষ্টা করছে “নারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এর প্রয়োগ” কে পুন:প্রতিষ্ঠা করতে, আর তার সাথে এর মাধ্যমে এইডসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে। পৃথিবী ব্যাপী এটা একটা প্রচেষ্টা যেটা নারীদেরকে উদ্বুদ্ধ করছে প্রযুক্তি সম্পর্কে ভীত না হয়ে বরং শিক্ষার মাধ্যমে এটা ব্যবহার করে তাদের জীবন উন্নত করতে। অন্য যে কোন সময়ের থেকে এখন নারী আর মেয়েদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের জীবনকে পরিবর্তন করা বেশী দরকার, বিশেষ করে মধ্য আমেরিকায়।

এই অঞ্চলের নারীরা প্রায় শিরোনামে আসে, কিন্তু পড়ার উপযোগী সংবাদের মাধ্যমে না। বরং খবর থাকে লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত অত্যাচার, ব্যাপক দারিদ্র, সুযোগের অভাব, অপুষ্টি, উচ্চ মৃত্যুহার এমন কি নারীহত্যা। এগুলো সত্ত্বেও এই অঞ্চলে বিষ্ময়কর সব নারী আছে, যারা প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তি নিয়ে লেখে আর যারা অন্যান্য নারীদের জীবনে একটা পরিবর্তন আনতে চায়।

সুইট সাকুরা (স্প্যানিশ ভাষায়) একজন সফ্টওয়্যার বিশেষজ্ঞই শুধু নয়, তিনি উন্মুক্ত সফ্টওয়্যারের একজন সমর্থক। এই ব্লগার এল সালভাদর থেকে নিজের ব্লগে সফ্টওয়্যার, হার্ডওয়্যার আর উবুন্তু নিয়ে তথ্য আর পরামর্শ দেন।

হুন্ডুরাস থেকে লিব্রেকাওস তার কমিউনিটির সাথে স্থানীয় ভাষায় সফ্টওয়্যারের গুরুত্ব আলোচনা করেন আর এই আনন্দ উদযাপন করেন যে তাদের কাছে শেষ পর্যন্ত উবুন্তু এসে পৌঁছেছে। এটি একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম যা মধ্য আমেরিকার একটা জাতিগত ভাষা মিস্কিটোতে কাস্টমাইজ করা। তিনি সাম্প্রতিক নারীদের প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধ করার আন্তর্জাতিক দিবস পালন করেছেন আর নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন:

En esto días recuerdo más cuando empezaba a trabajar y me tocada hacer transcripciones de cassetes, todos eran talleres con mujeres hablando sobre sus experiencias, no podía evitar conmocionarme al oir como sus esposos las golpeaban, oirlas llorar cuando aseguraban que podían trabajar porque “No tenian permiso de su marido”, o peor escuchar como las usaban como si fueran muqueñas para sexo, y luego las dejaban.

এইসব দিনে, আমি সেই দিনের কথা ভাবি যখন আমি কাজ করা শুরু করেছি। আমাকে ওয়ার্কশপে রেকর্ড করা ক্যাসেট থেকে প্রতিলিপি লিখতে হতো যেখানে নারীরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলতো, আর আমি ব্যাকুল না হয়ে পারতাম না যখন আমি শুনতাম তাদের স্বামী তাদেরকে কেমন করে মেরেছে। তাদের কান্না শুনতাম যখন তারা কাজ করতে পারতো না কারন “তাদের স্বামীদের কাছ থেকে তাদের অনুমতি নেই” বা সব থেকে খারাপ হলো যৌন কাজের জন্য তাদেরকে কেমন পুতুলের মতো ব্যবহার করা হয়, আর তার পর ছেড়ে দেয়া হয়।

গুয়েতেমালার ইভোন আলদানার ভিঙ্কুলেশিওন (স্প্যানিশ ভাষায়) বেশ চিত্তাকর্ষক। তিনি নতুন আবিষ্কার, নতুন মডেল আর ডিজাইন, আইসিটি দল আর উন্নয়ন বিজ্ঞানীদের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। লা পিয়েন্সা লিব্রে কোস্তা রিকা থেকে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সাথে লিখেছেন (স্প্যানিশ ভাষায়) প্রযুক্তির আকর্ষণ নিয়ে যেহেতু এটাকে সমাজ, পরিবেশ আর অন্যান্য জিনিষ থেকে আলাদা করা যাবে না।

নারীদের শিক্ষা আর মেয়েদের শিক্ষার মান উন্নত করে এই বিশাল সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে পারে প্রযুক্তি যেমন প্রজনন স্বাস্থ্য ও রোগ থেকে মুক্ত থাকার বিভিন্ন তথ্যের প্রচার করে। আশা করা যায় যে মধ্য আমেরিকার নারীরা প্রযুক্তি ব্যবহারকারী, উদ্যোক্তা আর নীতি নির্ধারক হিসাবে সংখ্যায় বাড়বে!

উপরের ছবি টেক ব্যাক দ্যা টেক এর সৌজন্যে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .