ভেনেজুয়েলা: হিউমান রাইটস ওয়াচকে বহিষ্কার

সশস্ত্র সেনারা আন্তর্জাতিক এনজিও হিউমান রাইটস ওয়াচ এর মুখপাত্র হোসে মিগুয়াল ভিভাঙ্কোসকে খুঁজছে। কারন একটা সাংবাদিক সম্মেলনে ”শাভেজের অধীনে এক দশক: রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা আর ভেনিজুয়েলার মানবাধিকার কে এগিয়ে নেবার সুযোগ হারানো,” এই শিরোনামের একটি রিপোর্ট পরিবেশনের কয়েক ঘন্টা পর তাকে ভেনিজুয়েলা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রিপোর্টে (রাষ্ট্রপতি) হুগো শাভেজের প্রশাসন সম্পর্কে সমালোচনামূলক মন্তব্য ছিল।

ভেনিজুয়েলার সরকারের প্রতিক্রিয়া দ্রুতই পাওয়া গেছে। তারা একে বলেছে, “আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের আর একটা বৈদেশিক আগ্রাসন”, যা বিশ্বাসযোগ্য করে তাদের রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতাকে যা রিপোর্টে বলা হয়েছে। তাদের এই সমস্ত প্রতিক্রিয়া তার কিছু প্রমানও দিয়েছে, যা সাম্প্রতিক ভেনিজুয়েলার বৈশিষ্ট হয়ে দাড়িয়েছে।

ভেনিজুয়েলার বিরোধী দল যা বলেছে তার থেকে অন্য কিছু এই রিপোর্ট বলেনি, আর বাস্তবে, ভিভাঙ্কোর মন্তব্য নতুন কিছু না।

কিন্তু সে বিদেশী বলে আর এনজিওটির আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতার কারনে তাকে তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা হয়েছে। এর সাথে, সম্প্রতি ভেনিজুয়েলার সরকার আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কার করেছে বলিভিয়ায় আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে।

ইরিয়া পুয়োসা তার ব্লগ রেস্টিডোসে হিউমান রাইটস ওয়াচ এর রিপোর্টটির কিছু অংশ প্রকাশ করেছে (স্প্যানিশ ভাষায়) ‘দয়া করে দেখবেন না অথবা দূর হোন,” শীর্ষক লেখায়:

Venezuela no logrará obtener un progreso real y sostenido hacia el fortalecimiento de su democracia; ni tampoco ser un modelo útil para otros países de la región; mientras su gobierno continúe despreciando los principios de derechos humanos establecidos en su propia Constitución.

[…]

El capítulo 2 documenta de qué forma el gobierno ha:
– Despedido a opositores políticos de algunas instituciones estatales y de la compañía petrolera estatal y puesto sus nombres en listas negras;
– Ha negado a algunos ciudadanos el acceso a programas sociales como consecuencia de sus opiniones políticas; y
– Discriminado contra los medios de comunicación, los sindicatos y las organizaciones de la sociedad civil en respuesta a sus críticas o a su actividad política.

গণতন্ত্রকে শক্ত করতে ভেনিজুয়েলা সত্যিকার আর দীর্ঘমেয়াদী অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে না, অঞ্চলের অন্যান্য দেশের জন্য উপকারী উদাহরণও হতে পারবে না, যতক্ষণ এর সরকার তাদের সংবিধান দ্বারা নির্মিত মানবাধিকারের মূলমন্ত্রকে নীচু করে দেখে।

পরিচ্ছেদ ২ বর্ণনা করেছে সরকার কিভাবে:

* কিছু সরকারী সংস্থায় আর রাষ্ট্রায়ত্ব পেট্রোলিয়াম কোম্পানিতে বিরোধী দলের লোকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে আর তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে;
* রাজনৈতিক মতাদর্শের কারনে কিছু নাগরিককে সামাজিক কিছু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে দেয়া হয়নি; আর
* মিডিয়া, ইউনিয়ন আর নাগরিক সংস্থার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন করা হয়েছে তাদের সমালোচনা বা রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য।

যদিও সরকারকে সমর্থন করা ব্লগের সংখ্যা গত কয়েক মাসে কমে গেছে, অন্যান্য জায়গায় এইসব মতামত ঠিকই প্রকাশ করা হয়। আপোরিয়া সাইটে আর্টিকেলে ভিভাঙ্কোস আর হিউমান রাইটস ওয়াচ এর ভুমিকাকে সরাসরি অভিয়ুক্ত করা হয়েছে (তাদেরকে সিআইএর কমচারী আর স্থীতিশীলতা নষ্টকারী বলা হয়েছে)। রিপোর্টের উপর এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে যেন ওটা আমেরিকার উৎপাদিত, আর কিছু লেখক যেমন ফ্রান্সিস্কো সিয়েরা কোরাল্লেস এমনও প্রস্তাব করেছে যে ‘মানবাধিকার’ আবার পুন:ব্যাখ্যা করা হোক:

Podemos decir que no sólo los estados o gobiernos son los únicos sujetos activos o los únicos susceptibles de violar los derechos humanos o garantías sociales sino que lo puede hacer el Imperialismo Yanqui, como primer factor de poder mundial. Por ejemplo, el terrorismo mediático y las desestabilizaciones políticas son impulsadas y monitoreadas por Washington, en contra de nuestros pueblos, en especial en contra de los gobiernos de centro-izquierda y centro-derecha que han empezado a surgir en nuestro continente en lo que va de siglo.

আমরা বলতে পারি যে রাষ্ট্র বা সরকার একমাত্র সচল বস্তু না বা একমাত্র সন্দেহভাজন না মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে বা সামাজিক গ্যারান্টির ব্যাপারে। কিন্তু ইয়াঙ্কি সাম্রাজ্যবাদও যেটা করতে পারে যেমন মিডিয়া সন্ত্রাসবাদ আর রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা প্রচারণা আর নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে ওয়াশিংটন থেকে, আমাদের লোকের আর বিশেষ করে মধ্য- বাম আর মধ্য-ডানপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে, যারা আমাদের মহাদেশে এই শতাব্দীর প্রথম থেকে ক্ষমতায় আছে।

অন্যান্য রাজনৈতিক ফোরামে, একজন বিপ্লবী ফোরামিস্ট আচু২ (ভিভান্কোসের বিরুদ্ধে) মন্তব্য করেছে:

Con una diplomacia subliminal nos quieren convencer que se cometió un abuso contra este “martir” de los Derechos Humanos. Acá se le dio cuerda [oportunidad] suficiente a este señor. Tiene 10 años viniendo en tiempos electorales a subvertir el orden interno con calumnias y falacias apoyando a una tolda politica… perdió el equilibrio y la veracidad.

অবচৈত্তিক কূটনীতি দিয়ে, তারা আমাদেরকে বোঝাতে চায় যে এই মানবাধিকার “শহিদের” বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে। এখানে তারা এই লোককে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছে। সে এখানে গত ১০ বছর ধরে নির্বাচনের সময়ে এসে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে তৎপর হয়ে গালি আর মিথ্যা কথা দিয়ে একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে- সে ভারসাম্য আর সততা হারিয়ে ফেলেছে।

ঐতিহাসিকভাবে যারা নিজেদেরকে শাভেজের বিরোধী বলে সেইসব ব্লগের জন্য এই ঘটনা ভেনিজুয়েলার সামরিক সরকারের রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার দিকে আর এক ধাপ এগুনো। অন্যান্য মতে, খুব একটা সাদা কালোভাবে না, রোমুলো রড্রিগেজ তার ব্লগ রোমরোড এ মন্তব্য করেছে যে সে একমত না এই পদক্ষেপের সাথে যে কেউ সমালোচনা করলে তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে:

No me importa realmente quien es este señor Vivancos, no lo conozco ni me interesa. Pero lo que si me importa es que el gobierno venga y nos diga como y por que lo que se dice en el reporte es falso. Punto por punto si es posible. Responder con la expulsión de estos señores lo que me hace pensar es que como que tienen la razón y por esto es que los botan. Una torpe bravuconada. […]

¿No hay discriminación política? ¿No hay intolerancia? ¿Hay un completo respeto a las minorías?”

আমি গ্রাহ্য করি না কে এই ভিভাঙ্কোস, আমি তাকে চিনি না আর আমি পরোয়া করিনা। আমার কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো যে সরকার এসে বলে যে রিপোর্টে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা। প্রত্যেক পয়েন্ট ধরে যদি সম্ভব হয়। এদেরকে বহিষ্কার করলে আমি ভাবি যে তারা কি ঠিক ছিল যার জন্য তাদেরকে বের করে দেয়া হলো। একটা আনাড়ী আর নির্লজ্জ কাজ।

রাজনৈতিক বৈষম্য কি নেই? অসহিষ্ণুতা কি নেই? সংখ্যালঘুদের জন্য কোন সম্মান আছে?

পেট্রুস্কো বিতর্কে অংশগ্রহন করেছে আর পেরিওডিসমো দে পাজ এর আলোচনায়ও অংশগ্রহন করেছে হিউমান রাইটস ওয়াচ এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। তিনি এদেশে তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন:

El día que la HRW demuestre su imparcialidad y eficiencia lanzando informes duros y contundentes en contra de gobiernos como el de Estados Unidos o Israel y realizando acciones serias y eficientes en función de esos informes entonces si valdrá la pena creerles lo que se vengan a leer aquí o en donde sea.

যেদিন হিউমান রাইটস ওয়াচ তাদের পক্ষপাতিত্বহীনতা আর যোগ্যতা প্রমান করবে আমেরিকা আর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া আর সম্পূর্ণ রিপোর্ট দিয়ে আর এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আন্তরিক আর কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, তখন তারা এখানে বা অন্য কোন জায়গায় গিয়ে যা রিপোর্ট করেছে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে

তারা বাণীটিকে না বাণীদাতাকে আক্রমণ করছে? রিপোর্টটি এখানে পড়েন আর নিজেই বিচার করেন।

থাম্বনেইল ছবি: কিথক্যাথ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .