ইউটিউব ব্যবহারকারী ডেন্নিসবিয়ের০৯ দুটি ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়েছেন এবং লিখেছেন:
এই দুই ভাগের ভিডিওতে ভিক্ষু আর সাধারন মানুষদেরকে মিয়ানমারের (বার্মার) মিলিটারি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর ২৪ ২০০৭ তারিখে প্রাক্তন রাজধানী ইয়াঙ্গুনে (রেঙুনে) এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে এই ছবি নেয়া হয়েছে।
স্যাফরন রেভুলিউশন ব্লগ এ মিয়ানমারের ব্লগারদের পোস্ট করা প্রতিবাদ সমাবেশের ছবি সংকলিত করছে ব্লগার আওজার থি।
থাইল্যান্ডে থাকা ব্যাঙ্কক ডেইজড মিয়ানমারে থাকা তার বন্ধুদের কথা চিন্তা করছে:
ইয়াঙ্গুন থেকে বন্ধুদের কাছ থেকে আমি কয়েকটা মেইল পেয়েছি। একজন বর্তমান পরিস্থিতিকে “খুবই স্পর্শকাতর”, বলে জানিয়েছে। “আমাদের স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাল থেকে। এর পর কি হবে জানিনা।” স্থানীয় আর একজন বলেছেন, “শহরতলীতে তারা আজকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেছে। পরিস্থিতি খারাপ মনে হচ্ছে। আমি পরে লিখব। কতক্ষন ইন্টারনেট থাকবে জানি না, হয়তো শীঘ্র লাইন কেটে দেবে।” আমি গত কয়েকদিন ধরে অনলাইনে খবর দেখে যাচ্ছি, পরিস্থিতির হালনাগাদ সংবাদের জন্য। মনে করা হচ্ছে ইয়াঙ্গুন আর মান্ডালয়তে কারফিউ নেই।
এর মধ্যে মালয়েশিয়ার রাজনিতিবীদ লিম কি সিয়ান মালয়েশিয়া আর আসিয়ানকে অনুরোধ করেছেন পদক্ষেপ নিতে যাতে মিয়ানমারে আর রক্তপাত না হয়।
মালয়েশিয়া আর আসিয়ানের উচিৎ ইয়াঙ্গুন আর মান্ডালায়তে ভিক্ষুদের নেতৃত্বে যে বিক্ষোভ হচ্ছে আঞ্চলিক আর আন্তর্জাতিকভাবে তার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে সাহায্য করা। কারন এরা ১০ বছর আগে মিয়ানমারকে আসিয়ানের সদস্যপদ দিয়ে তার মিলিটারি সরকারকে সমর্থন করেছে আর তাদের নতুন জীবন দিয়েছে।
আগের একটি লেখায় এই রাজনীতিবিদ চীন আর ভারতকে সাবধান করে দিয়েছেন, যারা এই মিলিটারি সরকারকে সমর্থন করছে,
মিয়ানমারের রক্তপাতের ফলে যে আন্তর্জাতিক বিরুপ প্রতিক্রিয়া হবে তা থেকে বাচতে পারবে না চীন, বিশেষ করে বেইজিং অলিম্পিক গেমস ২০০৮ আর ভারত কারন তারা এই মিলিটারি সরকারকে সমর্থন করছে আর রক্তপাতের ঘটনাকে উপেক্ষা করছে।
মিয়ানমারের ব্লগার ইয়াঙ্গুন থু মায়ানমারের ঘটনা নিয়ে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি পাঠকদের একটা পিটিশনে স্বাক্ষর করার আহবান করেছেন:
চীনের উচিত বার্মার জান্তাকে বলা শান্তিপ্রিয় প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া আর ইউ এন এর প্রস্তাবিত বার্মার জন্য কাজে হস্তক্ষেপ না করা।
ভারতীয় ব্লগার দ্যা একর্ন মনে করেন যে চীন, ভারত আর থাইল্যান্ড মিয়ানমারের শাসকদের প্রভাবিত করার মতো অবস্থায় নেই।
বাইরের কেউ এমনকি চীন ও এখানে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারবেনা। আর চন্দ্র তো জিঞ্জাসা করেছে যে আমরা কতোটা যুক্তিসংগতভাবে চীনের কাছ থেকে আশা করতে পারি যে তারা মিয়ানমারের সরকারকে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বলবে। তাই চীনের পরামর্শ ততটুকুই থাকবে – সামরিক জান্তাকে রক্তপাত না করতে বলা। এটি আসিয়ানের মহা সচিবের প্রতিক্রিয়ার মতোই। থাইল্যান্ড যারা একসময় গনতন্ত্রের জন্য শক্ত অবস্থান নিত, এখন মিলিটারি শাসনে। তাই থাইদের কাছ থেকেও বেশি কিছু শোনা যাবে না। ভারতের ‘ইউ পি এ’ সরকার এখন বিপদে আছে এবং সামনের বছরের নির্বাচন নিয়ে তারা আলোচনা শুরু করছে- তারাও কোন পদক্ষেপ নেবে বলে মনে হয়। না, ভারতের নৌবাহিনী মিয়ানমারের তীর থেকে কোন কার্যক্রম চালাবে না। একইরকম বলা যায় আমেরিকার প্যাসিফিক ফ্লিটের ব্যাপারেও।
ব্যাঙ্কক ডেইজড আমেরিকার পদক্ষেপকে তিরষ্কার করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ মিয়ানমারের উপর আবারো অবরোধ ঘোষনা করেছেন।
আরো অবরোধ? এই পর্যায়ে এতে কি লাভ হবে? কিন্তু এটা বুশের কুটনীতির প্রচলিত নীতি: দেশটাকে খারাপ বলো, অবরোধ দাও, আর কারো সাথে বসে কথা বলার চেষ্টা করোনা।